পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ১ । সূ ১৭ ] সমাধি পাদ । · 8ථ বিচার থাকে না, অন্ত দুইটা থানে । চতুর্থটতে (অস্মিতা সমাধিতে ) বিতর্ক, বিচার ও আনন্দ তিনটীই থাকে না কেবল অস্থিত মাত্র থাকে। উক্ত চতুৰ্ব্বিধ সম্প্রজ্ঞাত সমাধি সালম্বন অর্থাৎ ইহাতে আলম্বন থাকে, কোনও না কোন একটী সাত্বিক বৃত্তি থাকিয়া যায় ॥ ১৭ ॥ মন্তব্য। উল্লিখিত চারি প্রকার সম্প্রজ্ঞাত সমাধিকে প্রকারাস্তরে তিন প্রকার বলা যাইতে পারে, গ্রাহবিষয়ক, গ্রহণবিষয়ক ও গৃহীতৃবিষয়ক। গুণত্রয়ের তামসভাগ হইতে পঞ্চভূত ও সাত্বিকভাগ হইতে ইঞ্জিয়গণ উৎপন্ন হয়। গ্রাহ (যাহার গ্রহণ অর্থাৎ জ্ঞান হয় ) বিষয় স্থল স্থল্ম ভেদে দুই প্রকার, স্থল পঞ্চ মহাভূত বিষয়ে সমাধির নাম সবিতর্ক, স্তন্ম পঞ্চভূত বিষয়ে সমাধির নাম সবিচার। গ্রহণ ( যাহার দ্বারা গ্রহণ অর্থাৎ জ্ঞান হয়, ইন্দ্রিয়গণ ) বিষয়ও স্থল স্বক্ষ ভেদে দ্বিবিধ, চক্ষুঃ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়গণ স্থলগ্রহণ ও অহঙ্কারতত্ব (ইন্দ্রিয় সকলের কারণ) স্বল্পগ্রহণ ; ইন্দ্ৰিয়ৰূপ স্থলগ্রহণ বিষয়ে সমাধির নাম সানন্দ, অহঙ্কাররূপ স্বক্ষগ্রহণ বিষয়ে সমাধির নাম সাম্মিত। সৰ্ব্বত্রই কার্যাকে স্থল ও কারণকে স্বক্ষু বলা হইয়াছে। অহঙ্কার বিষয়ে সমাধিকে গৃহীতৃবিষয়ক বলে, কারণ ইহাতে গৃহীত ( যে গ্রহণ করে, যে জানে) অর্থাৎ আত্মা অহঙ্কারের সহিত অভিন্নভাবে ভাসমান হয়। - কাৰ্য্যাবস্থায় স্বক্ষভাবে কারণ থাকে, কারণাবস্থায় কাৰ্য্য থাকে না, অর্থাৎ সমবায়ি কারণকে পরিত্যাগ করিয়া কাৰ্য্য দাড়াইতে পারে না, কার্যাকে ত্যাগ করিয়া সমবায় কারণ থাকিতে পারে, সুতরাং স্থল ( কাৰ্য্য) বিষয়ে সবিতর্ক সমাধিতে অপর তিনটী সমাধিরও সম্ভাবনা থাকে, ঐ স্থল গ্রাহবিষয়ের মধ্যেই সূক্ষ্মগ্রাহ ও দ্বিবিধ গ্রহণ বিষয় সমাধি হইতে পারে, তাই বলা হইয়াছে “প্রথমঃ চতুষ্টয়ানুগতঃ সমাধিঃ”। এইরূপে সবিচার প্রভৃতি সমাধিও বুঝিতে হইবে। হিন্দুশাস্ত্রে সচরাচর সন্ধ্য, পূজা, উপাসনা ও স্তোত্রপাঠ প্রভৃতি যাহা কিছু বিহিত আছে, সমস্তই সম্প্রজ্ঞাত সমাধি। দুঃখের বিষয় অনেকেই পূজা প্রভৃতিকে যোগপথ বলিয়। নির্দেশ করেন না। লক্ষ্য স্থির নাই, উপায়ের অনুসন্ধান নাই, চিত্ত অভিমানে পরিপূর্ণ, তাই ওরূপ বিপরীত প্রতীতি হয়। স্থিরচিত্তে সন্ধ্যা পূজাপদ্ধতি ও যোগপ্রকরণ বিশেষরূপে পৰ্য্যালোচনা করিলে