পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やが、2 ・ পাতঞ্জল দর্শন। [পা ১। সূ৩০ । ] বিক্ষেপকারক অন্তরায় নয়ট । এই সমস্ত অন্তরায় চিত্তবৃত্তির (বিক্ষিপ্ত বৃত্তির ) সহিত উৎপন্ন হয়, ইহারা না থাকিলে চিত্তের বিক্ষেপ বৃত্তিও হয় না। ধাতু, ( বাত, পিত্ত ও শ্লেষ্মা ) রস (আহারের পরিণাম ) ও করণের (ইঞ্জিয়ের ) বষম্য অর্থাৎ নুনাধিক ভাব হইতে ব্যাধি জন্মে। স্ত্যানশব্দে চিত্তের কার্য্যকারিত শক্তির অভাব বুঝায়। এই বস্তুট এইরূপ কি না ? এইরূপ উভয় প্রকার জ্ঞানকে সংশয় বলে । সমাধির উপায়ের অননুষ্ঠানকে প্রমাদ বলে । তমোগুণের আধিক্যবশতঃ চিত্তের, এরং কফাদির আধিক্যবশতঃ শরীরের গুরুতা প্রযুক্ত প্রযত্নের অভাবের নাম আলস্ত । অবিরতি শব্দের অর্থ সৰ্ব্বদা বিষয়সংযোগরূপ তৃষ্ণাবিশেষ। এক বস্তুকে অন্ত বস্তু বলিয়া জানার নাম ভ্রান্তিদর্শন। মধুমতী প্রভৃতি সমাধিভূমির লাভ না হওয়াকে অলব্ধ ভূমিকত্ব বলে। উক্ত সমাধিভূমি পাইয়াও তাহাতে অবস্থান না করাকে অনবস্থিতত্ব বলে । সমাধির প্রতিলন্ত অর্থাৎ ধোয়ের সাক্ষাৎকার হইলে চিত্ত স্থির হয়, নতুবা ভ্রংশের সম্ভাবনা । উক্ত নয়টা চিত্তের বিক্ষেপ, যোগের মল ও সমাধির প্রতিপক্ষ বলিয়া অভিহিত হইয় থাকে ॥৩০ ॥ মন্তব্য। "ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যং মূলমুত্তমম্‌” শরীর সুস্থ নাথাকিলে কোন কাৰ্য্যই হয় না তাই স্বত্রকার প্রথমেই ব্যাধিকে অন্তরায় বলিয়াছেন। ইহাদের মধ্যে বিশেষ এই সংশয় ও পিপৰ্য্যয় এই দুইটী চিত্তের বৃত্তিবিশেষ । সুতরাং যোগবৃত্তির বিরোধী, কারণ যুগপৎ চিত্তের বৃত্তিদ্বয় হয় না “জ্ঞান- । দ্বয়স্তাযোগপদ্যাৎ ।” ব্যাধিপ্রভৃতি চিত্তবৃত্তি না হইলেও ইহারা যোগের বিরুদ্ধ বিক্ষেপ বৃত্তি উৎপাদন করিয়া যোগের প্রতিপক্ষ হয়। -- - অম্বয় ও ব্যতিরেক দ্বারাই কাৰ্য্যকারণভাব গৃহীত হয়, দেখা যাইতেছে অন্তরায় সকল থাকিলে বিক্ষেপ হয়, না থাকিলে হয় না, সুতরাং উক্ত ব্যাধি প্রভৃতি অন্তরায় চিত্তের বিক্ষেপক। সকল বিষয়েই যে পৰ্য্যন্ত পরিপক না হওয়া যায়, ততদিন বিশেষ সতর্ক ,থাকিতে হয়, ধোয় সাক্ষাৎকার না হওয়া পৰ্য্যন্ত পদে পদে সমাধির ভ্রং হইতে পারে, অতএব বিশেষ প্রণিধান সহকারে যোগের অনুষ্ঠান করিতে হুইবে ॥ ৩০ ॥