পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ১ । সূ ৩১ । ] সমাধি পাদ । ૭૧ সূত্র। দুঃখদোঁন্ধনস্তাঙ্গমেজয়ত্বশ্বাসপ্রশ্বাসা বিক্ষেপসহ ভুবঃ ॥ ৩১ ॥ ব্যাখ্যা । ( দুঃখাদয়ঃ প্রশ্বাসপৰ্য্যন্তাঃ পঞ্চ ), বিক্ষেপসহভূবঃ (বিক্ষেপেণ সহ জায়ন্তে, বিক্ষিপ্তচিত্তস্তৈতে ভবন্তীতি ফলিতোহথঃ) ॥৩১। তাৎপৰ্য্য। বিক্ষিপ্ত ੋੜ দুঃখ, দৌৰ্ম্মনন্ত, অঙ্গমেজয়ত্ব (শরীরের কম্পন), শ্বাস ও প্রশ্বাস হইয়া থাকে। ৩১ io ভাষ্য। দুঃখমাধ্যাত্মিকং, আধিভৌতিকং, আধিদৈবিকঞ্চ । যেনাভিহতাঃ প্রাণিনঃ তদুপঘাতায় প্রযতন্তে তদৃদুঃখম। দৌৰ্ম্মনস্তং ইচ্ছাভিঘাতাৎ চিত্তস্ত ক্ষোভঃ যদঙ্গান্ত্যেজয়তি কম্পয়তি তদ্‌ অঙ্গমেজয়ত্বম। প্রাণে যদ্বাহং বায়ুং আচামতি স শ্বাসঃ, যৎ কৌষ্ঠ্যং বায়ুং নিঃসরিয়তি স প্রশ্বাসঃ । এতে বিক্ষেপ-সহভুবঃ বিক্ষিপ্তচিত্তস্তৈতে ভবন্তি, সমাহিতচিত্তস্তৈতে ন ভবন্তি ॥ ৩১ ৷ অনুবাদ । যাহা দ্বারা আক্রান্ত হইয়া প্রাণিগণ তন্নিবারণের চেষ্টা করে, অর্থাৎ যে বস্তু অভিলষণীয় নহে তাহাকে দুঃখ বলে, দুঃখ তিন প্রকার, আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক। ইচ্ছার পূরণ না হওয়ায় চিত্তের চঞ্চলতাকে দৌৰ্ম্মনন্ত বলে। অঙ্গের কম্পকে ( বাত প্রভৃতি রোগ হইতে ) অঙ্গমেজয়ত্ব বলে। বাহিরের বায়ু নাসিক দ্বারা গ্রহণ করাকে শ্বাস, এবং ভিতরের বায়ু বাহির করাকে প্রশ্বাস বলে। এই কয়েকটা পূৰ্ব্বোক্ত বিক্ষেপের সহচর, কেন না বিক্ষিপ্ত চিত্তেরই এই সমস্ত হইয়া থাকে, সমাধি হইলে আর হয় না ॥ ৩১ ॥ মন্তব্য। আধ্যাত্মিক দুঃখ দুই প্রকার ; শারীর ও মানস, ব্যাধি প্রভৃতি হইতে শারীর এবং কাম প্রভৃতি হইতে মানস দুঃখ জন্মে। ব্যাঘ্র প্রভৃতি ভূত (প্রাণী ) হইতে উৎপন্ন দুঃখকে আধিভৌতিক দুঃখ বলে । গ্রহাদি হইতে আধিদৈবিক দুঃখ জন্মে। সমস্ত দুঃখই মনোজষ্ঠ হইলেও কেবল মনঃ এবং মন; ও অন্ত কারণ এই উভয় হইতে উৎপন্ন হয় বলিয়া শারীর ও মানসরূপে বিভাগ করা হইয়াছে। -