পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ዓ á পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সূ ৩২ ৷ ] করে এমন কোনই পদার্থ নাই। প্রবাহের অংশ এক একটী চিত্তব্যক্তিরই ধৰ্ম্ম একাগ্রতা একথাও সঙ্গত হয় না, কারণ, সদৃশ প্রত্যয়ধারার অন্তর্গত হউক অথবা বিসদৃশপ্রত্যয়ধারার অন্তর্গত হউক সমস্ত চিত্তব্যক্তিই এক একটী অর্থে নিয়ত অর্থাৎ এক বস্তু ভিন্ন অপর বস্তুকে বিষয় করিতে পারে না, সুতরাং একাগ্রতা স্বভাবসিদ্ধ হওয়ায় চিত্তের বিক্ষেপের সম্ভাবনা নাই, অতএব স্বীকার করিতে হইবে “স্থির একটা চিত্ত ব্যক্তি অনেক পদার্থকে বিষয় করে”। যদি স্থির একটী চিত্তের আশ্রিত না হইয়া পরস্পর বিলক্ষণ ( ক্ষণিক বলিয়া ) প্রত্যয় সকল উৎপন্ন হয় তবে কিরূপে এক প্রত্যয় কর্তৃক পরিদৃষ্ট পদার্থকে অপর প্রত্যয়ে স্মরণ করিবে ? কিরূপেই বা অন্ত প্রত্যয় কর্তৃক সঞ্চিত কৰ্ম্মফল অপরে উপভোগ করিবে ? কাৰ্য্যকারণভাব কল্পনা করিয়া অর্থাৎ কারণের ধৰ্ম্ম কার্য্যে সঞ্চার হইতে পারে, উত্তর বিজ্ঞানের প্রতি পূৰ্ব্ব বিজ্ঞান কারণ, সুতরাং পূর্ব পূৰ্ব্ব বিজ্ঞানের ধৰ্ম্ম উত্তরোত্তর বিজ্ঞানে সংক্রান্ত হইবে, এই ভাবে কোনও রূপে সমাধান করিলেও উহা গোময় পায়সীয় ভায়ের অপেক্ষাও অধিক উপহাসাম্পদ হয়। ক্ষণিক চিত্তস্বীকার করিলে স্বকীয় আত্মানুভবেরও অপলাপ হইয় পড়ে, আমি যাহা দেখিয়াছিলাম সম্প্রতি তাহা স্পর্শ করিতেছি, যাহা স্পর্শ করিয়াছিলাম সম্প্রতি তাহাই দেখিতেছি ইত্যাদি রূপে বিষয়ভেদে জ্ঞানের ভেদ হইলেও “যে আমি সেই আমি” এইরূপ প্রত্যভিজ্ঞ থাকায় জ্ঞাতার ভেদ কখনই হয় না। পরস্পর অত্যন্ত ভিন্ন চিত্ত ব্যক্তি ( বৌদ্ধমতে ক্ষণিক চিত্তই আত্মা) হইলে সেই আমি এই রূপ অভেদ বিষয়ক “অহং” ইত্যাকার প্রত্যয় কখনই হইতে পারে না। সেই আমি এই জ্ঞানটী সকলেরই অনুভবসিদ্ধ, (তর্কের কথা নহে) প্রত্যক্ষের প্রভাব অন্ত কোনও প্রমাণ দ্বারা বিনষ্ট হয় না, অন্ত সকল প্রমাণ প্রত্যক্ষেরই সাহায্যে ব্যবহার লাভ করিয়া থাকে। অতএব অনেক পদার্থে বর্তমান একটা স্থির চিত্ত আছে ইহাই সিদ্ধান্ত হইল ॥ ৩২ ॥ মন্তব্য । সকলেই স্বীকার করেন জ্ঞানের আধার একটা স্থিরচিত্ত আছে, এই চিত্ত ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে গমন করিয়া বিক্ষিপ্ত হয়, সুতরাং প্রযত্ন সহকারে উহার একাগ্রত হইতে পারে। বৌদ্ধ মতে সেরূপ ঘটে মা, কারণ বৌদ্ধের স্থিরচিত্ত স্বীকার করে না, ক্ষণে ক্ষণে জায়মান জ্ঞানই চিত্ত, এরূপ হইলে