পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ১ । সূ ৩৩ । ] সমাধি পাদ । • දෘව অনুবাদ । শাস্ত্র দ্বারা চিত্তের পরিশুদ্ধি বিহিত হইয়াছে, উহা কিরূপ o অর্থাৎ চিত্তশুদ্ধির কারণ কি ? স্বরূপ কি ? এবং ফলই বা কি ? এইরূপ জিজ্ঞাসায় বলা হইতেছে, জগতের সমস্ত সুখী লোকের প্রতি সৌহার্দ অর্থাৎ প্রেম করিবে (ইহাতে চিত্তের ঈর্ষামল দূর হয়), দুঃখিগণের প্রতি দয়া করিবে অর্থাৎ যেমন নিজের দুঃখ দূর করতে সৰ্ব্বদা চেষ্টা হয়, তদ্রুপ অন্ত প্রাণীর দুঃখ দূর করিতে ষত্ব করিবে (ইহাতে পরাপকাররূপ চিত্তমল বিনষ্ট হয় ), ধাৰ্ম্মিক লোক দেখিয়া সন্তুষ্ট হইবে (ইহাতে গুণে দোষারোপ নামক অস্থয়া নিবৃত্তি হয় ), অধাৰ্ম্মিক লোকের প্রতি উদাসীন থাকিবে, অর্থাৎ সৰ্ব্বতোভাবে তাহদ্বের সঙ্গ পরিত্যাগ করিবে ( ইহাতে ক্রোধরপ চিত্তমল বিনষ্ট হয় ) । এইরূপে পুনঃপুনঃ অনুশীলন করিলে চিত্তে শুক্লধৰ্ম্ম অর্থাৎ রাজস তামস বৃত্তি তিরোহিত হইয়া সাত্বিক বৃত্তি উদয় হইতে থাকে, তখন চিত্ত প্রসন্ন হইয়া সুস্থির হয়, পূর্বের ন্যায় আর তড়িৎবেগে বিষয় দেশে গমন করে না। ৩৩ ৷ মন্তব্য। শাস্ত্রের এই উপদেশটা ধাৰ্ম্মিকের জপমালা করা উচিত । পুত্র, ভ্রাতা প্রভৃতি আত্মীয়গণকে সুখভোগ করিতে দেখিলে সকলেই আনন্দিত হইয়া থাকেন, কারণ উহাদিগকে সকলেই প্রাণের অধিক ভাল বাসেন । ঐ ভালবাসাটুকু জগতের সমস্ত সুখীর প্রতি অৰ্পিত হইলে কেমন আননের কারণ হয় ? যেদিকে দৃষ্টিপাত করা যায় সকলকেই মুখস্বচ্ছন্ধে দেখিয়া অপার আনন্দ সম্ভোগ হয়। “অমুক রাজ্য পাইল” “অমুকের ঐশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি হইল” ভাবিয়া ভাবিয়া অন্তৰ্দগ্ধ হইতে হয় না । বিনা পরিশ্রমে স্বৰ্গভোগ, প্রাণপণ করিয়া অর্থোপার্জনে লোকে সুখী হউক, কেবল র্তাহাদিগকে দেখিয়াই ধাৰ্ম্মিকের আনন্দ, ইহা অপেক্ষ মুখের সুগম উপায় আর কি হইতে পারে ? নিজের কষ্ট হইলে তাহা দূর করিতে কাহারও উপদেশের অপেক্ষ থাকে না, ভবিষ্যতে কষ্ট হইবে বলিয়া পূৰ্ব্বেই প্রতীকারের চেষ্ট হয়। ঐ ভাবটী অপরের প্রতি হইলে জগতের অনেক দুঃখ মোচন হইবার সম্ভব। প্রকৃত ধাৰ্ম্মিকগণ পরের দুঃখ দেখিয়া আপনা হইতেই প্রতীকারের চেষ্টা করেন। অধাৰ্ম্মিকের সঙ্গ ত্যাগ করিতে বলা হইয়াছে ইহাতে আশঙ্কা হইতে পারে, “তাহাদের উদ্ধারের উপায় কি ? উপায় আছে, নিজে সম্যক্ সিদ্ধ হইয়া পরের প্রতি উপদেশ দিবে, অপক অবস্থায় উপদেশ দিতে গিয়া নিজেরই অধোগতির , е