পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qV " পাতঞ্জল দর্শন। [পা ১ । সূ ৩৫ ৷ ] পরোক্ষমিব অপবর্গাদিষু সূক্ষেম্বৰ্থেষু ন দৃঢ়াং বুদ্ধিমুৎপাদয়তি । তস্মাচ্ছাস্ত্রানুমানাচার্য্যোপদেশোপাদ্বলনার্থমেবাবশ্বাং কশ্চিদ্বিশেষঃ প্রত্যক্ষীকৰ্ত্তব্যঃ । তত্র তদুপদিষ্টার্থৈকদেশপ্রত্যক্ষত্বে সতি সর্ববং স্বসূক্ষবিষয়মপি আ অপবর্গাৎ সুশ্ৰদ্ধীয়তে এতদৰ্থমেব ইদং চিত্তপরিকম্যুনির্দিশাতে । অনিয়তাস্থ বৃত্তিষু তদ্বিষয়ায়াং বশীকার ংজ্ঞায়ামুপুজাতায়াং সমৰ্থং স্যাৎ ভূস্ততস্তার্থস্ত প্রত্যক্ষীকরণায়েতি, তথাচ সতি শ্রদ্ধাবীৰ্য্যস্মৃতিসমাধয়োহস্তাপ্রতিবন্ধেন ভবিষ্যন্তীতি ॥৩৫ অনুবাদ । যোগিগণ নাসিকার অগ্রে চিত্তের ধারণা করিয়া অলৌকিক গন্ধ সাক্ষাৎকার করেন, ইহাকে গন্ধ প্রবৃত্তি বলে, ঐরূপে জিহবার অগ্ৰে অলৌকিক রসজ্ঞান, তালুতে রূপজ্ঞান, জিহবামধ্যে স্পৰ্শজ্ঞান ও জিহামূলে শব্দজ্ঞান হইয়া থাকে । দিব্য গন্ধাদিবিষয়ে এই সমস্ত প্রবৃত্তি উৎপন্ন হইয়া চিত্তকে স্থির ও সংশয়কে (শাস্ত্রাদির উপদিষ্ট পদার্থবিযয়ে ) বিদূরিত করিয়া সমাধির উৎপত্তির উপায় হয়। এইরূপে চন্দ্র, স্বৰ্য্য, গ্রহ, মণি, প্রদীপ ও রত্ন প্রভৃতি বস্তুতে (জ্যোতিৰ্ম্ময় পদার্থে ) বিষয়বতী প্রবৃত্তি বুঝিতে হইবে । যদি চ শাস্ত্র, অনুমান ও আচার্য্যোপদেশ হইতে অবগত পদার্থ সমুদায় যথার্থই হইয়া থাকে, কারণ ইহারা যথার্থ বস্তুরই প্রতিপাদন করে, তথাপি যেকাল পৰ্য্যন্ত শাস্ত্রাদির উপদিষ্ট পদার্থ সমুদায় মধ্যে কোনও একটা ইন্দ্রিয় দ্বারা বিদিত না হয়, ততকাল মুক্তিপৰ্য্যন্ত সমস্ত সূক্ষ্ম পদার্থে শাস্ত্রাদি পরোক্ষভাবে থাকিয়া দৃঢ় জ্ঞান জন্মাইতে পারে না । অতএব শাস্ত্রাদি প্রতিপাদিত বিষয় সমুদায়ে সংশয় দূর করিবার নিমিত্ত অবশুই কোনও একটা বিশেষ প্রত্যক্ষ করা কৰ্ত্তব্য। উপদিষ্ট পদার্থ সমুদায়ের মধ্যে কোনও একটা প্রতক্ষ হইলে অপবর্গ পর্য্যন্ত সমস্ত সূক্ষ্ম বিষয়েই বিশ্বাস জন্মে, এই নিমিত্তই উল্লিখিত বিষয়বতীরূপ চিত্তপরিক (চিত্তের সংশয়চ্ছেদ ) নির্দিষ্ট হইয়াছে। অব্যবস্থিত চিত্তবৃত্তি সমুদায়ের মধ্যে তত্ত্বৎ গন্ধাদির সাক্ষাৎকার হইলে তত্তদ্বিষয়ে বশীকার /সজ্ঞা অর্থাৎ দৃঢ় বৈরাগ্য জন্মিলে পুরুষ প্রভৃতি স্বল্প বিষয় প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ হয়, অর্থাৎ শাস্ত্রোপদিষ্ট পুরুষ প্রভৃতি পদার্থে বিশ্বাস ও উপভোগ্য শঙ্গাদি বিষয়ে দৃঢ় বৈরাগ্য জন্মিলে আর বিক্ষেপের কারণ থাকে না, সুতরাং