পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓty ' পাতঞ্জল দর্শন । [* > नू ७७ । ] শান্তমনন্তমস্মিতামাত্ৰং ভবতি, যত্ৰেদমুক্তম “তমণুমাত্রমাত্মানমনুবিদ্যাহম্মীত্যেবং তাবৎ সম্প্রজানীতে” ইতি । এষা দ্বয়ী বিশোকাবিষয়বতী অস্মিতামাত্রা চ প্রবৃত্তির্জ্যোতিষ্মতীত্যুচ্যতে, যয়া যোগিনশ্চিত্তং স্থিতিপদং লভতে ইতি ॥৩৬। . অনুবাদ। পূৰ্ব্ব স্বত্র হইতে “প্রবৃত্ত্বিরুৎপন্ন মনসঃ স্থিতিনিবন্ধনী” এই অংশটুকুর অধিকার হইয়াছে। হৃৎপদ্মে ধারণা করিলে বুদ্ধির সাক্ষাৎকার হয়। বুদ্ধিসত্ব (বুদ্ধি আকারে পরিণত সত্বগুণ, বুদ্ধি সামান্ততঃ ত্রিগুণাত্মক হইলেও প্রধানতঃ স্বত্বপ্রধান ) ভাস্বর অর্থাৎ প্রকাশস্বভাব, আকাশের হ্যায় ব্যাপকু, ( প্রদীপের প্রভার ন্যায় ইহার সঙ্কোচ বিকাশ হইয়া থাকে ) এই বুদ্ধিসত্বে ধারণা কৌশল জন্মিলে স্বৰ্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, মণি প্রভৃতি জ্যোতিৰ্ম্ময় পদার্থের প্রভারূপে নানাবিধ চিত্তবৃত্তি জন্মে। এইরূপে অহঙ্কারতত্বে ধারণা করিলে চিত্ত প্রশান্ত কল্লোল মহাসমুদ্রের ন্তায় শান্ত অর্থাৎ রজঃ তমোগুণ বিরহিত হইয়া কেবল অস্মিতারূপে পরিণত হয়। এ বিষয়ে ভগবান পঞ্চশিখাচাৰ্য্য বলিয়াছেন “সেই অণুমাত্র অর্থাৎ দুরধিগম আত্মতত্বকে চিন্তা করিয়া অন্মি ( অহং ) এইরূপে আত্মসাক্ষাৎকার করিয়া থাকেন” । বিষয়বতী অর্থাৎ স্থৰ্য্যাদি নানা জ্যোতিৰ্ম্ময়ী ও অস্মিতামাত্র এই দ্বিবিধ বিশোক প্রবৃত্তি কথিত হইল, এই প্রবৃত্তি দ্বারা যোগিগণের চিত্ত স্থির হয় ॥ ৩৬ ৷ মন্তব্য। উদর ও বক্ষঃস্থলের মধ্যে অধোমুখ যে অষ্টদল পদ্ম আছে রেচক প্রাণায়াম দ্বারা উহাকে উৰ্দ্ধমুখ করিয়া উহাতে চিত্তের ধারণা করিবে। ঐ পদ্মমধ্যে স্বৰ্য্যমণ্ডল আকার জাগরিতস্থান, তদুপরি চন্দ্রমণ্ডল উকার স্বপ্নস্থান, তদুপরি বহ্নিমণ্ডল মকার স্বযুপ্তিস্থান, তদুপরি পরবোমাত্মক ব্ৰহ্মনাদ তুরীয়স্থান (চতুর্থ) অৰ্দ্ধমাত্র, ইহা ব্রহ্মবাদী যোগিগণ বলিয়া থাকেন। এই পদ্মের কণিকাতে উৰ্দ্ধমুখী স্বৰ্য্যাদিমগুলের মধ্যগত ব্ৰহ্মনাড়ী, তাহারও উপরে সুষুম্নানামে নাড়ী আছে, এই নাড়ী দ্বারা বাহিরের সুর্য্যাদিমগুলও সম্বদ্ধ আছে, ঐটাই চিত্তস্থান, উহাতে ধারণা করিলে বুদ্ধির জ্ঞান হয়। m আনুষ্ঠানিক হিন্দু মাত্রেই পূজার অঙ্গ ভূতগুদ্ধির বিবরণ অবগত আছেন। মূলাধারস্থিত কুলকুণ্ডলিনী শক্তির সহিত জীবাত্মাকে ফট্‌চক্ৰভেদ করিয়া