পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) পঞ্জিচায়ক । দেওয়ানী ও ੋ উভয় বিভাগের কার্ঘ্য বিবরণী হইতে তাহা স্কুচিত হইতেছে। প্রত্যেক পোষ্টফিসের অধীনস্থ গ্রাম সমূহের যে ভালিকা প্রদত্ত হইল তাহ একেবারে নিভূল নহে। এই জেলার হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায় মধ্যে এতদিন পরম্প বিশের সদ্ভাব ও সম্প্রীতি বর্তমান ছিল। বিগত ২৩ বৎসর হইল হাদল গোয়ালগ্রাম অঞ্চলে ও পার্শ্বডাঙ্গ সজনাই প্রভৃতি গ্রামে বর্গ জমির চাষ আবাদ লইয়া কিঞ্চিং মনোমালিন্ত উপস্থিত হইয়াছিল। উহা প্রশমিত হইতে ন হইতে পুনরায় বিগত এপ্রিল মাসে কলিকাতায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গহাঙ্গামার পর পাবনায় সম্প্রদায়িক বিরোধের ভাব প্রকাশ পাইয়াছে। তাহার ফলে মফঃস্বলের অনেক স্থলে হিন্দু দেবদেবী মূৰ্ত্তি ভগ্ন হইয়াছে। বিগত ৩০শে জুন রাত্রিতে পাবনা সহরের বিভিন্ন মন্দির হইতে কয়েক খানি কালিকাদি দেবী মূৰ্ত্তি দুৰ্ব্বত্তগণ কর্তৃক অপহৃত হয়; প্রকাগু রাস্তায় ভগ্নাবস্থায় পর দিবস ১লা জুলাই বৃহস্পতিবারে মূৰ্ত্তিগুলি দেখিতে পাইয়া সহরের হিন্দু অধিবাসিগণ তৎসমুদায় বিসর্জন জন্ত (এক মিছিল ৰাহির ররেন। উক্ত মিছিল বাজার মধ্যে খলিফা পঠিতে মসজিদের নিকট দিয়া গমনকালে মুসলমানগণ যাইতে নিষেধ করায় যে বিবাদ ও হাঙ্গামা উপস্থিত হয়, তাহার অব্যবহিত পর হইতেই পাবনা সহরে মফঃস্বলের অনেক গ্রামে সাম্প্রদায়িক বিরোধ প্রবলতর হইয়াছে। ফলে পাবন৷ লাজার শুক্রবার ও শনিবার একরূপ বন্ধ হইয়া থাকে। মুজানগর, খাতাইকুলা, কৈজুরী, খ্ৰীপুর ধোপাঘাটা, ভুলবাড়ি, গয়েশবাড়ী প্রভূতি অনেকুগুণি গ্রামের স্থানে স্থানে বিভাগে মুসলমান কর্তৃক হিন্দুদিগের ঘরবাড়ী ও দোকানাদি লুপ্তিত হইতে থাকে । আটঘরিয়া ও সাড়া থানার অনেক গ্রামে লুটতরাজ ও নানা অত্যাচার হইয়াছে। পাবনা সহঁর ও মফঃস্বলের উক্ত গ্রাম সমুহের অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় রাজসাহী বিভাগের কমিসনর সাহেব বাহাদুর স্বয়ং পুলিষের ডেঃ ইঃ জেনারেল সাহেব মহোদয় এবং অতিরিক্ত পুলিষ সহ ৪ঠা জুলাই তারিখে পাবনায় আগমন করতঃ উভয়েই স্বয়ং মফঃস্বলের অবস্থা পরিদর্শন করিয়াছেন । পার্শ্ববৰ্ত্তী জেলা হইতে অতিরিক্ত পুষি, গুরথা ও সামরিক পুষিাদি পাবনার আনীত