ভূমিকা।
হার করাতে যে লজ্জা ও গ্লানি তাহাহইতে মুক্ত হইতে পারিবেন এবং প্রধান ও অপ্রধান বিচারস্থলে বিদেশীয় ভাষা ও অক্ষর ব্যবহার না করিয়া স্বস্ব দেশ ভাষা ও অক্ষরেতেই বিচারীয় লিপ্যাদি করিতে সম্প্রতি যে রাজাজ্ঞা প্রকাশ হইয়াছে তাহাতেও সম্পূর্ণ উপকার প্রাপ্ত হইতে পারিবেন।
এই গ্রন্থে প্রায় পঞ্চশতাধিক দ্বিসহস্র চলিত শব্দ অকারাদি প্রত্যেক বর্ণক্রমে সূচী করিয়া বিন্যস্ত করাগিয়াছে ইহার মধ্যে পারসীক শব্দই অধিক ক্বচিৎ আরবীয় শব্দও আছে এবং উক্তোভয় ভাষাবিজ্ঞ ব্যক্তিরা ইহাও সুন্দররূপে জ্ঞাত আছেন যে অকারাদি বর্ণক্রমে সূচী করিয়া লিখিতে হইলে পারসীক ভাষার প্রত্যেক বর্ণের উচ্চারণগত ভেদোদ্ধারপূর্ব্বক বিন্যস্ত করা কদাচ হয় না যেহেতুক কোমল ও কঠিন ভেদে যথা ক্বাপ ও কাপ ও জিম ও জ্বাল ও জ্বে ইত্যাদির সহিত বঙ্গভাষীর কবর্ণ ও জবর্ণ প্রভৃতির অনেক বৈলক্ষণ্য থাকিলেও নিরুপায়তাপুযুক্ত তাহা স্বীকার করিতে হইল কিন্তু তজ্জন্য শব্দার্থের কোন হানি নাই কেননা সেই রূপ পূর্ব্বাপর ব্যবহার আছে সুতরাং উপস্থিত বিষয়ে দোষ নাই ইহা জানিবেন। আর এই গ্রন্থে যে হলে পারসীক শব্দের প্রকৃতার্থ বাচক গৌড়ীয় শব্দ অপ্রাপ্য হইয়াছে সেখানে বিশেষ এবং স্বনামখ্যাত পদ দ্বারা অর্থ লিখাগিয়াছে অতএব সেখানে অগত্যা পারসীক শব্দই ব্যবহার্য্য হইবেক যেমন (সিআ) (শুন্নি) যনবিশেষ ইত্যাদি লিখাগিয়াছে হিন্দুর মধ্যে সিআ শুন্নির ব্যবহার না থাকাতে নামান্তর হয় নাই সুতরাং সেই নামই হিন্দুরদেরও ব্যবহার্য্য এই প্রকার অন্যত্রও জানিবেন। আর বর্গীয় ও অন্ত্যভেদে বকার দ্বিবিধ তন্মধ্যে অন্ত্য বকারের চিহ্ন পেট কাটা এবং তাহার উচ্চারণ ভিন্ন হইবেক যেমন ৰাজিবী এবং ৰাসীল ইত্যাদি স্থলে ওয়াজীবী এবং ওয়াসীল এই প্রকার উচ্চারণ হইবেক এই প্রকার সর্ব্বত্র জানিবেন ইতি।