পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সতীত্ব নাশের প্রমাণ।
১১

প্রদান করিবেন না, এ পুত্র আমার নহে, এ নছিবনের গর্ভে জন্মাইয়াছে। কিন্তু আমি মিথ্যা করিয়া যাহাতে পুত্রটী লইতে পারি, তাহার চেষ্টা করিতেছিলাম! ধর্ম্মাবতার! এখন জানিতে পারিলাম, আপনার নিকট মিথ্যা বলিয়া পার পাইবার উপায় নাই। আপনি প্রকৃত বিচারই করিয়াছেন।”

 ফতেমার এই কথা শুনিয়া, কাজি সাহেব তাহাকে অব্যাহতি প্রদান করিলেন। উভয়েই হৃষ্টমনে আপনাপন স্থানে প্রস্থান করিল।



সতীত্ব নাশের প্রমাণ।


 একটী দরিদ্র স্ত্রীলোকের অনেক দিবস হইতে একটী পুরুষের সহিত মনোবিবাদ ছিল। সে সেই পুরুষকে জব্দ করিবার নিমিত্ত অনেক সময় অনেক রূপ চেষ্টা করিয়াছে, কিন্তু কখনও কোন রূপে কৃতকার্য্য হইতে পারে নাই।

 কোন দুষ্ট লোকের পরামর্শ-মত এক দিবস সেই স্ত্রীলোকটী কাজি সাহেবের নিকট গমন করিয়া সেই পুরুষের নামে এইরূপ ভাবে এক নালিশ করিল যে, এক দিবস সন্ধ্যার সময় যখন সে একাকী রাস্তা দিয়া গমন করিতেছিল, সেই সময় সেই পুরুষটী কোথা হইতে দৌড়িয়া আসিয়া রাস্তার মধ্যে তাহাকে ধরিয়াছে ও জোর করিয়া তাহার ধর্ম্মনষ্ট করিয়াছে।