এই বলিয়া ক্রীতদাস সেই বণিকের কাপড় ধরিয়া সেই রাস্তার উপর ভয়ানক গোলযোগ উপস্থিত করিল। এই ব্যাপার দেখিয়া ক্রমে রাস্তায় লোক জমিয়া গেল। ক্রমে জনৈক প্রহরী আসিয়া উভয়কেই ধৃত করিয়া কাজি সাহেবের সন্নিকটে লইয়া উপস্থিত হইল।
কাজি সাহেব উহাদিগের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমাদিগের মধ্যে মনিব কে, এবং ক্রীতদাসই বা কে?” উত্তরে উভয়েই কহিল “আমি মনিব।” কোন্ ব্যক্তি যে ক্রীতদাস, তাহা কেহই স্বীকার করিল না, অথচ প্রমাণ-প্রয়োগের দ্বারা কেহই প্রতিপন্ন করিতে পারিল না যে, উহাদিগের মধ্যে প্রকৃত মনিব কে?
এই ব্যাপার দেখিয়া কাজি সাহেব বিষম বিপদে পড়িলেন, এবং প্রকৃত কথা জানিবার আশায় একটু চিন্তা করিয়া, তিনি উভয়কেই একটী গৃহের ভিতর রাখিয়া দিয়া, তাঁহার জল্লাদকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন। শাণিত তরবারির সহিত জল্লাদ সেই স্থানে উপস্থিত হইবামাত্র তিনি তাহাকে কহিলেন, “এই প্রকোষ্ঠ মধ্যে যে দুই ব্যক্তি রহিয়াছে, উহাদিগের প্রত্যেকের মস্তক এক সময়ে এই বাতায়ন-পথে বাহির করিতে বল। উভয়েই যখন উহাদিগের মস্তক বাহির করিবে, তখন তুমি তোমার শাণিত তরবারি দ্বারা, যে ব্যক্তি ক্রীতদাস, তাহার মস্তক কাটিয়া আমার সম্মুখে আনিয়া উপস্থিত কর।”
জল্লাদ, কাজি সাহেবের আজ্ঞা প্রতিপালন করিবার নিমিত্ত, উভয়ের মস্তক সেই গবাক্ষ পথে বাহির করিয়া দিয়া,