পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ যেমনি না হয় কেন তারে আমি চাই”। তোমার উত্তরে অার প্রয়োজন নাই ॥ কাজীর প্রতিজ্ঞা শুনি ভাবিল ওমার । নিতান্ত করিবে বিয়া কন্যাকে আমার ॥ কৌতুক করিতে কেবা কি জানি কহিল । তাহাতেই বুঝি এত চঞ্চল হইল ॥ ইহা ভাবি বিবেচনা করে মনে মনে । । যোগ্যের অধিক পণ চাহি এই ক্ষণে ॥ এ পণে আপন পণে অক্ষম হইবে । মুদ্রা ভয়ে বিবাহের কথা না কহিবে । এতেক চিন্তিয়া মনে কাজী প্রতি কয় । ভাল তবে কন্যা অামি দিব মহাশয় ॥ কিন্তু বিনা সহস্ৰ সুবর্ণ মুদ্রা পণ । করিব না কুমারীকে কখন অপৰ্ণ ॥ কাজী কহে হেন পণ কেন হে তোমার । পণ দিব প্রাণ পণে ধন কিবা ছার ॥ ইহা বলি স্বর্ণ থলি তখনি আনিয়া । সহস্ৰ মোহর তীরে দিলেক গণিয়ণ ॥ পরে বিবাহের পত্র প্রস্তুত হইল । স্বাক্ষর করণ কালে ওমার কহিল ৷ বিধি বেত্তা শত জনে আনহ এখন । তাহা ভিন্ন করিবন স্বাক্ষর কখন ॥ কাজী বলে মোর প্রতি এত অবিশ্বাস। ক্ষতি নাই পুরাইব তব অভিলাষ ॥ ইহা বলি অধ্যাপক মৌলবি মল্লায় । মঠধারী বিধিবৃেত্তা ডাকিতে পাঠায়। যখন এসব লোক আসিল সেখানে । , শিল্পকার কহিলেক সব সন্নিধানে ॥ শুন প্রভু হলো যদি বাসনা তোমার। দিলাম তোমাকে তবে কুমারী অামার কিন্তু যদি মনোনীতা না হয় রমণী । পশ্চাতে ত্যজিতে বাঞ্ছা করেন আপনি । বলুন সভার অাগে স্বৰূপ বচন । দিবেম সহস্ৰ স্বর্ণ তাহারে তখন ॥ পারস্য ইতিহাস । করিলাম অঙ্গীকার বিচারক বলে । সাক্ষী রহিলেন এই সভাপ্ত সকলে ॥ রঙ্গরাজ যায় পুরে বিদায় লইয়ণ । কন্যা পাঠাইয়া দিব কাজীরে কহিয়া ॥ ওমারের গমনাস্তে সকলে চলিল । একমাত্র বিচারক বসিয়া রহিল । পরম সুন্দরী ছিল তাহার বনিত । বোগদাদ দেশীয় মহাজনের দুহিতা ॥ বিবাহ করিয়া তার পরিতে মজিয়া । ছিলেন পরম মুখে তাহাকে ভজিয়" ॥ " অন্য বিবাহের কথা শুনিয়া রমণী । ক্রোধে আসি বিচারকে কহিল তখনি ॥ এক তাজে দুই মাথা একি শুনা যায় । কি প্রকারে দুই হাত এক দস্তানায় ॥ এক কোষে অসিদ্ধয় শুনি না কখন । এক গৃহে গৃহিনী উভয় এ কেমন । যাও যাও মুখ তব না হেরিব অর । অস্থির চঞ্চল তুমি পুরুষ অসার । অাম হেন পতিব্ৰতা স্ত্রীর আলিঙ্গনে । যদি নাহি সন্তোষ জন্মিল তব মনে ॥ ত্যাগ কর মোরে, আর কি কাজ হেথায় পণ ফিরে দেহ মোরে যাইব ত্বরায়। কাজী বলে ত্যজ্য হবে বড়ই উত্তম। কেমনে কহিব ছিল ভাবনা বিষম ॥ ইহা কহি বিচারক সিন্দুক খুলিয়। পঞ্চশত মুদ্র। দিল একথা বলিয়া ॥ ত্যজ্য অামি করিলাম তোমায় এখন । লইয়া আপন দ্রব্য করহ গমন ॥ তদন্তর ত্যজ্য পত্র লিখে দিল তায় । রমণী তখনি নিজ পিতৃ গৃহে যায় ॥ বিচারক দাসগণে কহে তার পর । নব রমণীর জন্যে সাজাইতে ঘর ॥ রেশমি গালিচা অামি মেজেতে পাতিল । বুটিদার কাপড়েতে দেয়াল মুড়িল ।