পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

í* ১২৬ পারস্য ইতিহাস । টানিয়া ফেলায় শোকে মস্তকের ফুল। কি সাধ তাহাতে আর রাজকন্যা বলে। দুই চক্ষে বহে ধারা শোকেতে ব্যাকুল ॥ মরিব বিষাদ করি এই মাত্র ফলে । কতেক সাত্মনা করে সখী দুই জনা । শুনিয়া উত্তর করে অার সহচরী। ন। মানে প্রবোধ ক্রোধে কহে বরাননী ॥ এবড় দারুণ পণ তোমার স্বন্দরী ॥ তোদের বচন মোরে লাগে যেন বিষ। সত্য বটে তোমা যোগ্য নাহি কোন বর। একে মরি তোরা আর কেন জ্বলা দিস ॥ বৃথায় সাত্বন কর মানা না মানিব । চিন্তানলে দেহ জ্বলে নিশ্চয় মরিব ৷ ধিক২ অামার অধিক কার দুঃখ । কেমনে সভায় কালি দেখাইব মুখ ॥ কোথায় রহিবে তেজ কোথা রবে মান । কেমনে মানিব হারি সভা বিদ্যমান ॥ লোকে বলে বিদ্যাবতী রাজার কুমারী। ভাঙ্গিল বিদ্যার ভুর চুর হলো জারি ॥ হায় কি অদৃষ্ট মোর পুনঃ কান্দি কয় । বিপক্ষের পক্ষে সবে মোর পক্ষে নয় ॥ স্তব্ধ প্রায় হেরি তারে সবে কম্প কায় । অামার লজ্জায় কেহ ফিরে নাহি চায় ॥ হায় ২ কালি অারো কত লজ্জা পাব । গুণেতে কলঙ্ক রবে জগৎ হাসাব ॥ কোন মুখে সভা মাঝে কব পরাভব । হায় বিধি তোর মনে ছিল এই সব ॥ সখী বলে ঠাকুরাণী ভাব কি কারণ। চিন্তা কর যাতে লজ্জা হয় নিবারণ ॥ হেন কি সে কটু প্রশ্ন উত্তরে নারিবে । তুমি গুণে নিৰুপমা অক্ষম হইবে ॥ কন্যা কহে কিবা অালো বল সহচরী । বুঝিতে পারিলে না কি এত খেদ করি। ষে রাজপুত্রের নাম জিজ্ঞাসিল মোরে । আপনি কুমার সেই শুন বলি তোরে ॥ নাহি জানি জাতি কুল, নাহি জানি ধাম । তাই ভাবি কেমনে কহিব তার নাম ॥ সখীকহে ঠাকুরাণী জানিয়া এমন । অঙ্গীকার কৈলে তবে কিসের কারণ ॥ এবরে বরহ নহে সাধারণ নর ॥ _ পরম পণ্ডিত পাত্র, বিদ্যার সাগর । ৰূপে গুণে নিৰূপম রসিক নাগর ॥ তুরন্দত্ত বলে সখী স্বৰূপ বচন । উপযুক্ত পত্র এই রাজার নন্দন ॥ দয়া হয়েছিল বটে দেখিয়া তাহারে । , মরিবে বিদেশে শেষে হারিয়া বিচারে। জনমে যে ভাব মোর কাহারে না হয় । সে ভাব তাহারে হেরি হইল উদয় ॥ মনে ভাবি মনোবাঞ্ছা সিদ্ধি হলে তার । বিচারে জিনিয়া পতি হইবে অামার ॥ উত্তরে উত্তরে কিন্তু ঘটিল প্রমাদ । অহঙ্কার অভিমান সাধিল বিবাদ ॥ । ধন্য তাকে লোকে কয় মোরে বাজে শাল । তাই তার প্রতি ঘৃণা হইল বিশাল ॥ হায় ২ অামার কপালে এই ছিল । , অপমানে অমুনয় করিতে হইল ॥ । কোথাকার হতভাগা হবে মোর স্বামী । ধিক২ ছার প্রাণ না ৰাখিব আমি.৷ এত বলি কান্দে ধনী ব্যাকুলা হইয়া । ছিড়ে কেশ বেশ ভুষ৷ ফেলে আছাড়িয়৷ শোকেতে করিতে যায় বদনে আঘাত । কাছে ছিল সহচরী ধরি রাখে হাত ৷ তবু কি সাত্বন মানে নৃপতির বালা । কে নিভায় মনাগুণ হৃদয়েতে জ্বালা ৷ এই ৰূপে স্থলোচনা কত শোক করে । যুবরাজ ভাবে কায সিদ্ধি হলো পরে ॥ ভাসিছে পরম মুখে কৌতুকে বসিয়া । হেন কালে মহীপপল পাঠায় ডাকিয়া ।