পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

冰尊心 পারস্য ইতিহাস । ' ভাল করি দেহ মোর দেখ সহচরী । কোথা কোন দোষ থাকে কহ সত্য করি । আমি কিলো অঙ্গ হীন কুৎসিত রমণী । কি দোষ বদনে মোর কহলো সজনী ॥ মির্শ বলে ঠাকুরাণী কি কহিব আর. ধরণীতে তব তুল্য নারী দেখা ভার। আহা মরি কিবা তব নয়ন ভঙ্গিন । মুচ্ছ যায় সেই জন যে জানে মহিমা ॥ ভূমণ্ডলে নাহি দেখি মুঢ় এর পর। এমন ৰূপের কিসে করে হতাদর ৷ অবাক হয়েছি মেনে এদের দেখিয়া । এৰূপ দেখিয়া থাকে কিৰূপে বাচিয়া ॥ হেরিয়া মরিত কিম্বা পাগল হইত । ৰূপের গরিমা তবে কিঞ্চিৎ থাকিত ॥ রাজন্য বলে সত্য বলিলে সঙ্গিনী । তুমিত সামান্য নহ মদন মোহিনী। দেখ সখী কত করি বঁাচাইনু প্রাণ । তাই কি সহিতে হলো য়েষ অপমান ॥ | জমাদারে ডাক দিয়া অান সহচরী। অজাগরে নিতে দোহে সমপণ করি। আজ্ঞা মাত্রমিশা গিয়াডাকে জমাদারে কন্যা কহে সপে নিয়া দেও দুজনারে ॥ ধরিয়া লইয়া যায় পুনঃ ডাকি কয় । একেবারে নষ্টকর যুক্তি সিন্ধ নয় । , এক কালে মারি যদি স্থখ তাহে হবে। যন্ত্রণা পাবে না ভাল মনে খেদ রবে । অতএব দুজনারে জাত পেষাইবে । দিবা রাত্র এক বার বিশ্রাম না দিবে ॥ নৃপজা নিদেশে দোহে লইয়া চলিল । নগরের প্রাস্ত ভাগে অানিয়া রাখিল ৷ দিবা নিশি জাত৷ পিষি বসি দুই জনে কথা না কহিতে.দেয় অনুচর গণে । কখন বা কাষ্ঠবোঝা মাথায় চাপায় । ভজে অঙ্গ জড় সড় চলা নাহি যায় ॥ কাতর দেখিয়া দোহে যত কাফিগণ । হাসিয়া প্রেমের কথা করে উত্থাপন ॥ অমনি সে পোড়া ৰূপ অন্তরে জাগিত । ঘূণায় দুৰ্ব্বল দেহ সবল করিত। ভাবিতাম জাত পিষি সে বরঞ্চ মুখ । আর যেন নাহি হয় দেখিতে সে মুখ ॥ একদিন বহু শস্য পিষিতে বলিয়া । গ্রামে গেল হপিসিগণ দুজনে রাখিয়া ॥ কেহ মাত্র নাই তথা আমরা উভয় । । পাত্রে কহি দেখ ভাই এইতো সময় ॥ হপিসিরগিয়াছে গ্রামে জন প্রাণী নাই। চল শীঘ্র এ সময় আমরা পলাই ॥ জলধি কুলেতে চল যাই দুই জনে । তরণি পাইব তথা লইতেছে মনে ॥ সায়েদ বলিল প্রভু এই যুক্তি বটে। যদি তরি পাই তবে তরিব সঙ্কটে। কত সবো পাপ জ্বালা সহ্য করা ভার। মরণ বিহনে দেখি নাহিক নিস্তার ॥ চল ত্বর করি তবে যাই দুই জন । সদয় হইলে বিধি বাচিবে জীবন ॥ নিতান্ত র্ত হারে যদি দেখি পরাভূখ। সিন্ধুনীরে বীপ দিয়া ঘুচাইব দুঃখ । এইৰ পে প্রতিজ্ঞা করিয়া আচম্বিত । পরাবার তটে গিয়া”দে হে উপনীত । কিবা ভাগ্য সুপ্রসন্ন দেখি গিয়া তীরে । নাবিক বিহীন তাঁর ভাসিতেছে নীরে। ওরণি পাইয়া তটে আনন্দিত মন । ঈশ্বর স্মরিয়া দোহে করি আরোহণ ॥ ডিঙ্গ বাহি যাই পরে দেখি পাছু পানে। ধীবর ধরিতে তরি আসিছে সেখানে ॥ নাবিক না পায় নৌকা দাও ইয়া ঘাটে । বিষম বিরাগ করে দুঃখে বুক ফাটে । ডাক হাক গালি-মন্দ ধুম ধাম কত । আমরা বাহিয়া ডিঙ্গা পার হই তত ॥