পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস দূতকে বসায়ে রাজ পুত্র সম্ভ"ষিল । রজার কুশল বা স্ত্রী তারে.জি জ্ঞাসিল দৃ ত বলে মহাশয় করি নিবেদন । শোকানলে দগ্ধ নৃপ পুত্রের কারণ ॥ এক মাত্র পুত্র ছিল অন্য অার নাই । র্তাহার বিহীনে ভূপ ভাবিত সদাই । দুঃখের বারতা শুনি আমরা দুঃখিরাজার সভায় গিয়া হই উপনীত। সমাদরে যুবরজে বসায় রাজন। হেরিয়া তাহীর মুখ করয়ে রেদিন । , একি সৰ্ব্বনাশ বলে রাজার তনয় । অামারে দেখিয়ণ কেন কণনদ মহাশয় ॥ বুঝি মোরে হেরি পুত্রে হইল স্মরণ । শোকানল তাই বুঝি প্রবল এখন ॥ রাজা বলে সত্য বটে হেরিয়া তোমায়। ব্যাকুল হৃদয় মোর হইল তাহায় ॥ " তোমাতে পুত্ৰেতে মোর কাপে ভেদ নাই তারে পাসরিতে বুঝি বিধি দিল তাই ॥ । সন্তানের প্রতি মোর যেই ভাব ছিল । সে ভাব তোম (তে এবে আসিয়ণ পসিল " এখন বাসনা তুমি হেথা বাস কর । । মরণ হইলে মোর হবে রাজ্যেশ্বর ॥ এত শুনি যুবরাজ সন্তু মে উঠিয়ণ । প্রণাম করিল ভূপে ভূমিষ্ঠ হইয়। মনে মনে স্থির করে নৃপের কারণ । থাকিব বরঞ্চ রাজ্যে নাহি প্রয়োজন । রাজার প্রবল শোক সন্তান বিহীনে । শীতল হইল হেরি রজার নন্দনে ॥ দিন দিন ভালবাসা বাড়িল এমন । নয়নের পার তারে করেনা কখন ॥ এক দিন যুবরাজ জিজ্ঞ সে রাজারে । , মরিল তনয় তব কহ কি প্রকারে ॥ হায় হায় নৃপ কহে কি কহিব আর । । প্রেম অনুরাগে পুত্ৰ মরিল আমার ॥

  • У Ф

যেৰূপে তনয় মোর হইল নিধন । তাহার রত্তান্ত বলি করহ শ্রবণ । কাশীর দেশীয় রাজ কন্যার সৌন্দর্য্য । শুনিয়া তনয় তাহে হইল অধৈর্য্য । ক্রমে ক্রমে প্রেমে তীরে করিল অধীন । দিন দিন তনুক্ষীণ বদন মলিন ॥ 事 ৰূপান্তর, হেরি পুত্রে হইয়া কাতর । টগ্রে লবি ভূপে দেই নজর বিস্তর। অবিলম্বে দূত যায় কাশ্মীর নগরে । নজর ধরিয়া নৃপে কহে যোড় করে । গজুিনার নরপতি বিক্রমে বিশাল ; তাহার আদেশে হেথা আ সি মহীপাল ৷ কেমনেকুমার শুনে দুহিতা তোমার । , ৰূপে গুণে গণনীয়া অতি চমৎকার ॥ ব্যাকুল সদত তিনি র্ত হারি কারণ । বসন তনয়া তারে করহ অপণ ॥, ধৌভাগ্যের কথা বটে কহিল ভূপতি । প্রতিজ্ঞা করেছি বলে কি করি সম্প্রতি। কন্যার অমতে আমি বিবাহ না দিব । কসয়ার কির। বলৈ কেমনে ভঙ্গিব ॥ মনুষ্যের প্রতি ঘৃণা স্বপন প্রভাবে । এখন সে ঘৃণা তার কি প্রকারে যাবে। যামিনীতে স্বপ্ন এক নন্দিনী দেখিল । কুরঙ্গ অসিয়া যেন জালেতে পড়িল । কুরঙ্গিনী হরিণের হেরি অন্তকাল । উদ্ধার করিল তারে ভগ্ন করি জাল ॥পুনঃ অন্য ফদে গিয়া হরিণী পড়িল । । উপায় না করি কিছু মৃগ পলাইল । স্বপন প্রভাবে এই ভাবের উদয় । পুরুষের প্রতি ঘৃণা তাহাতে নিশ্চয় ॥ দূত মুখে এই কথা করিয়া শ্রবণ । বিবাহ হবেন। তবে ভ বিল নন্দন ॥ শোকেতে বিষম রোগ আসিয়া জন্মিল ধরিল অমনি কালে দেখিতে না দিল ॥