পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । রাণীকে ডাকিয়া রাজা কহিল তখন । * ছাড়িতে হইল প্রিয়ে সখীরে এখন ॥ অদ্যাবধি দাদে নীর দাসীত্ব বরণ । মনে না করিবে কিছু ইহার কারণ”। মহিষী কহিল “প্রভু সন্দেহ কি মনে । বাঞ্ছা করি চির মুখে থাকে দুই জনে” । নৃপতি বলেন “ রাজী বাসনা অামার । শাস্ত্রের সম্মত বিয়া দিব দোহাকার ॥ নৃত্যগীত মহোৎসবে তিনদিন যাবে। মহানন্দে বিবাহেতে লোক জন খাবে’ ॥ শুনিয়ণ রাজার কথা বণিক তনয় । পদানত হয়ে বলে “শুন মহাশয় ॥ পদেতে যেমন তুমি নরের প্রধান । সৌজন্যে তোম কে দেখি তাহার সমান। অতএব ভাণ্ডারের যোগ্যপা ত্ৰ তুমি। সে ধন তোমাকে দিতে বাঞ্ছা করি আমি রাজা বলে “না হইবে কখন এমন । লইব তোমার ধন কিসের কারণ ॥ স্বচ্ছন্দে সুখেতে ধন কর বিতরণ । বাঞ্ছা করি দীর্ঘ কাল থাক দুই জন”। নায়িকা নায়কে রাজ-মহিষী তখন । কহিলেন “বল শুনি বৃত্তান্ত কেমন” । তদন্তর দুই জনে কহিতে থাকিল । রাণীর লেখক গল্প লিখিয়ণ রাখিল ৷ অতঃপর নৃপবর হরিয অন্তরে । উদ্বাহের যথাবিধি আয়োজন করে ॥ বিবাহ দিলেন ঘটা করি অতিশয় । কোলাহল চতুর্দিক ঘুড়ি দেশময় ॥ অনিবার তিন দিন হয় নৃত্য গীত । চতুর্থ দিবসে অসি মন্ত্রী উপস্থিত ॥ আনিল অবিলফট মন্ত্রীরে ধরিয়া । হস্ত পদ শৃঙ্খলেতে বন্ধন করিয়া ॥ রাজীকে যে অ নে নাই করি এপ্রকার । অবিল অভাবে ভয়ে মৃত্যু হয় তার ॥ NうQ সমাচার শুনি ভূপ করি আজ্ঞ দান। পুরীর সম্মুখে মঞ্চকরিল নিৰ্ম্মণি ॥ আবল-ফটায় তুলি তাহার উপরে । কোতোয়াল দাড়াইল আসিনিয়া করে ॥ দেখিতে আইল দেশে ছিল যত লোক । আনন্দে ভাসিল সবে না ভাবিয়া শোক ॥ কোতোয় লি রাজ-মুখ করে দরশন । মন্ত্রীরে কাটিতে তাজ্ঞ৷ দেন ততক্ষণ ॥ হেনকালে নৃপতিকে বণিক তনয় । চরণে ধরিয়া কহে করিয়া বিনয় । “ যদিও অবিলফট দুরাচার হয় । তথাপি তাহীর প্রাণ রখে মহাশয় ॥ তোমার করুণ দৃষ্টি অামাতে দেখিয়া । পাইবে কতই দুঃখ জীবনে থাকিয় ॥ মোর সুখ দেখি দুঃখে জ্বলিয়া মরিবে । ইহার অধিক অার শাস্তি কি করিবে” ॥ শুনিয়া আশ্চৰ্য্য রাজ কহিল যুবারে । “ জানিলাম তব দয়া যথার্থ এবারে ॥ বশরীর রাজ্য দান করিব তোমাকে । যথার্থ শাসনে তুমি-রাখিৰে প্রজাকে"। যুব কহে “ মহারাজ রাজ্যে নাহি কায । প্রাণ রক্ষা করিয়াছে আলী যুবরাজ ॥ আর যে উদ্ধার করে বলকিসী নারী । ইহুদিকে রাজ্য দেন এই ভিক্ষা করি” । নৃপতি ভাবিল আলী বাচায় যুবারে । রাজ্যদান পুরস্কার উচিত তাহারে । আলীকে রাজত্ব আর উজীরের প্রাণ । তাবিলের বাঞ্ছামতে দিল দুই দন ॥ কিন্তু মন্ত্রী দুরাচর ছাড়া নহে তায় । , জীবন অবধি বদ্ধ থাকে রাজাজ্ঞায় ॥ অবলের বাক্যে মন্ত্রী পাইল জীবন । শুনিয়া প্রশংসা করে যত প্রজণ গণ ॥ কিছুকাল বাস করি রাজার ভবনে । অবিলের বাঞ্ছা হয় স্বদেশ গমনে ॥