পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । না শুন যদ্যপি তবে ধুলা মাখি গায়ে। কান্দিয়া পড়িব গিয়া নৃপতির পায়ে ॥ কহিব তাহাকে সব বঞ্চনার কথা । পাইবে উচিত শাস্তি না হবে অন্যথা ॥ কৌলফের কথা শুনি দান্‌সেমন্দ যায় । সাধুকে অন্তরে নিয়া সকল জানায় । কহিল বাছিয়া বর অনিয়াছ বটে । এমত অসৎ অার দ্বিতীয় না ঘটে ৷ এখন ভাৰ্য্যারে ত্যাগ করিতে না চায়। কিন্তু কি মনের ভাব বুঝা নাহি যায় ৷ মনে করি কাবু করি বাড়াইতে টাকা । পুৰ্ব্বকার অঙ্গীকার এবে দেয় ঢাকা । মজাফর বলে তাহা যদি সত্য হয় । মনোব্যথা দেই তারে পরামর্শ নয়। দেও গিয়া শত মুদ্র গণিয়া এখনি । তুষ্ট হয়ে যায় যেন ত্যজিয়া রমণী ॥ একথা শুনিল যুবা অন্তরে থাকিয়া । নাহি নাহি তাহা নাহি কহিলা ডাকিয়া ॥ বৃথায় দ্বিগুণ ধন চাহিতেছ দিতে । কোটী গুণে না পরিবে মোরে ভুলাইতে৷ দামৃসেমন্দ বলে যুবা ভাল বুঝ নাই । অজ্ঞানীরা যাহা করে করিতেছ তাই ॥ শুন বলি একশত মোহর লইয়া । পত্নী ত্যজ্য করি যাও বিদায় হইয়া ॥ বিচার অ্যালয়ে যদি এই কথা যায় । তোমার দুর্দশ শেষে হইবে তাহায় ॥ কেন দেখাইছ ভয় সাধু পুত্ৰ কহে । তোমার বচন মোর তৃণজ্ঞান নহে ॥ বিবাহ করেছি যারে শাস্ত্র অনুসারে । কোন বিচারেতে বল ত্যজিতে তাহারে। ক্রোধে কম্প কলেবর কহিল টtহার । কি কারণে কর এত সাধনা ইহার ॥ কাজীর সম্মুখে চল এবেটারে নিয়া । বুঝাইবে কাজী তারে যুক্ত শাজা দিয়া। Q3 ס\? দাম্সেমন্দ মজাফর একত্রে দুজনে । বুঝাইল আরো কত প্রবোধ বচনে ॥ নিস্ফল দেখিয়া শেষে সব অকিঞ্চন । কাজীর নিকটে নিয়া চলিল তখন ॥ বিচারক বিশেষ শুনিয়া পরিণয় । কৌলফের প্রতি কহে দেখাইয়ণ ভয় ॥ এত বড় অাশা তোর কি কারণে ঘটে । ভুলিলে কি ভিক্ষণ করি পেট পাল মঠে। কিছুই নাহিক জ্ঞান ওরে নরাধম । অন্ত্যজ হইয়া বাঞ্ছা হইতে উত্তম ॥ সংসারে ধনীর পুত্ৰ তুল্য যার নাই। তার প্রিয়তমা পত্নী ইচ্ছাকর তাই ॥ নীচ হয়ে ভাৰ্য্যা ভোগ করিবি তাহfর । ইহা কি স্বচ্ছন্দে চক্ষে দেখিবে টীহার ॥ মনেতে ভাবিয়া দেখ মরিছিস ভ্ৰমে । তোর যোগ্য হেন নারী নহে কোনক্রমে৷ কড়া কড়ি নাহি সঙ্গে কেন হেন মন । করিবি কেমনে তুই রমণী পালন ॥ এই সে বিশেষ হেতু শুনরে দুর্জন । বিচারত সাধু পত্নী দিব না কখন ॥ মজাফর দেন যাহা সস্তষ্ট হইয়া । পলায়ন কর সেই বেতন লইয়ণ ॥ অামার কথায় যদি এখন না যাবি । বেত্ৰাঘাতে মোরহাতে জীবন হারাবি । এত যে ভয়ের কথা বিচারক বলে । তথাপি সাধুর পুত্র কিছু নাহি টলে ॥ অনায়াসে বেত্ৰাঘাত সহিয়া থাকিল । ভাবের ব্যত্যয় তাহে কিছু না হইল। কাজী বলে মজাফর আজি আর নয় । - ক'লি দিব আরো শাজা ইচ্ছা যত হয় ৷ অদ্য রাত্রি নিয়া রাখ রমণীর সনে । ছাড়িবে জায়াকে কালি হেন লয় মনে ॥ টাহারার অভিপ্রায়, বিশ্রাম না দিয়ণ । একেবারে কার্য্য সিদ্ধ করে প্রহারিয়া ॥