পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । 》 이 ৰুক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি উভয়ই অঞ্জনরূপ প্রগাঢ় তমসাচ্ছন্ন হয়। পরে যদি কোন হিতৈষী সুহৃৎ তাহার সেই অজ্ঞানরূপ আবরণ দূর করিয়া দেয়, তবে তাহার অন্তর্নিগুঢ় উদ্বেগ সকল তাহার নিকট মুক্তকৰাটপ্রায় হয় এবং তদুপলক্ষে ক্রমে ক্রমে স্থানচ্যুত হইয়া পলায়ন করে । সুতরাং তাহীর মন যেমন ভ্রান্তি, সঙ্কোচ, সংশয়, প্রভূতিতে সমাচ্ছন্ন থাকিত তত্তাবৎ এককালে দূরীভূত হয়, এবং তাহার হৃদয়-প্রাস্তরে তখন সুখ-সমীরণ সঞ্চরণ করিতে আরম্ভ করে । ” ধর্জিনিয়া নিজ জননীর প্রমুখাৎ এত দুশ প্রণয়গর্ভ বচন-পরম্পরা শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত চমৎক্লত হইল এবং পুৰ্ব্বে তাহার ষে সকল মনোবেদনা পরমেশ্বর ব্যতীত অন্য কেহই জানিত না তত্তাবৎ সে আপনার মাতার সন্নিধানে মুক্ত হৃদয়ে কহিতে লাগিল । বর্জিনিয়া আদৌ প্রণিধান পুৰ্ব্বক বিবেচনা করিয়া দেখিল ষে জগদীশ্বরপ্রসাদাৎ আমার মনোগত ভাব আমার মাতার সম্মত হইয়াড়ে । অন্তর্যামী জগদীশ্বর যে আমাকে জননীর মতানুষায়িনী করি। য়াড়েন তাহার তাৎপৰ্য্যই এই ৰোধ হয়, নচেৎ তিনি আমাকে মাতার পরামর্শের অনুগামিনী হইতে কদাচ সুমতি দিতেন না । মনেই এতাদৃশ সদযুক্তি স্থির করিয়া বর্জিনিয়া পরমানন্দিত-মনে ভাবি দুর্ঘটনার আশঙ্ক পরিত্যাগ করিয়া জননীর সহিত অবস্থিতি করিতে মনস্থ করিল । বিৰি দিলাতুর বিবেচনা করিয়া দেখিলেন যাহা ভাবিয়া বর্জিনিয়ার নিকট এই বিষয় প্রস্তাব করিলাম