পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । ( సె গ্রহই করিয়া থাকি । যেমন কোন ব্যক্তি তীরে থাকিয় কোন ব্যক্তিকে জলে ডবিতেই হস্তে ধরিয়া উত্তোলন করে, তেমনি আমিও কোন দুরবস্থাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখিতে পাইলে তাহাকে সৎ পরামর্শ দ্বারা উদ্ধার করিতে চেষ্টা করিয়া থাকি । কিন্তু আমার সেই সৎ পরামর্শ প্রবণ করিয়া গ্রহণ করে এমত ব্যক্তি কদচিৎ আমার দৃষ্টিগোচর হয় ৷ হইতেও পারে, ইহ। বিচিত্র নহে, যাহারা সাংসারিক কাৰ্য্যে সতত ব্যাপৃত থাকে, তাহাদিগের মতে প্রাক্কত সুখ সুখ বলিয়াই ধৰ্ত্তব্য হয় না । এই জগতীতলে প্রত্যেক ব্যক্তির অস্থি রচিত্ত । সুতরাং তাহার কাল্পনিক মিথ্যামুখের আশ্বাসে কেবল নিত্য প্রাক্কত সুখের রস স্বাদে বঞ্চিত হয়। ঐ সকল ব্যক্তি কিছুকাল কম্পিত মুখ ভোগের জন্য ধনাদির অৰ্জ্জনে মনোনিবেশ করে, শেষে জানিতে পারে ইহার কিছুতেই প্রকৃত মুখ নাই, তখন সেই মুখের নিমিত্ত পরমেশ্বর সন্নিধানে প্রার্থনা করিতে থাকে। আমি অনেককেই প্রক্লত মুখী করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহ সুসিদ্ধ হয় নাই । কারণ তাহার। হু সারিক ক্লেশে যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ । তাহারা আমার সহায়তায় পুনৰ্ব্বার মর্য্যাদা ও সৌভাগ্য প্রাপ্ত হইবার আশ্বাসে অামার কথাগুলিন আপাততঃ বিশেষ মনোযোগ দিয়া শুনে, পরে দেখিতে পায় এবং মনেই বুঝিতেও পারে যে ত}হাদের তাদৃশ মিথ্যা ও অগ্রাহ মুখে বিরক্তি প্রকাশ করানই আমার অভিপ্রায়, তাহাদিগকে সেই সুখের অনুগামী করিতে , আমার কিছুমাত্র প্রযত্ব নাই। তাহাতে সুতরাং