পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । > & > গিয়াছে । আমি যখন তখন তাঁহাদের সঙ্গে এই সকল গাছতলে বসিয়৷ ভোজনাদি করিতাম। বর্জিনিয়ার কৰ্ম্মের মধ্যে কেবল পরের উপকার করাষ্ট প্রধান ছিল । সে যদি কখন কোন ফল খাইতে পাইত, তাহা হইলে তাহার বীজটি ভূমিতে রোপণ করিত, এবং কহিত “ এই ষে বীজটি পুতিলাম, ইহ অঙ্ক,রিত হইয়া কালক্রমে রক্ষরূপে পরিণত এবং ফল কুসুম সমূহে মুশোভিত হইবেক । এবং সেই সকল ফলে কত শক্ত ২ পথিকের ও বিহঙ্গগণের মহোপকার হইতে পরিবেক ” । এক দিন বর্জিনিয়া একটি মুপক্ক খজুর খাইয় তাহার বীজ ঐ পৰ্ব্বতের পাদভূমিতে রোপণ করিল, এবং কাল-সহকারে সেই ৰীজ হইতে একটি বৃক্ষ উৎপন্ন হইল । এখন তাহ প্রচুর ফলে পরিপুর্ণ। বর্জিনিয়ার প্রস্থানের সময় সেই গাছটি উদ্ধে দুই ফুটের অধিক হয় নাই; কিন্তু এত শীঘ্র তাহার ব্লদ্ধি হইয়াছিল যে তিন বৎসর মধ্যে তাহা বিশ ফুট লম্বা হয় । সে সময়ে তাহার গলার কাছে কাদি২ ফল । পাল, এক দিন বেড়াইতেই ঐ স্থানে গিয়া উপস্থিত হইল এবং সেই গাছটি তাদৃশ প্রচুর ফল ভরে অবনত দেখিয়া মহা আনন্দিত হইল । এ কিছু বড় আশ্চর্য নহে, প্রণয়িনী বর্জিনিয়ার স্বহস্তরোপিত ব্লক্ষের ফল দেখিলে তাহার আনন্দসাগর অবশ্যই উদ্বেল হইতে পারে ; কিন্তু সেই প্রিয়তমার স্বহস্তাজিত এই রক্ষকে তাহার বিরহের সাক্ষীস্বরূপ ৰোধ হইবামাত্র তখন পালের তাদৃশ হর্যামৃতে এৰুকালে নিরতিশয় বিষাদবিধ উৎপন্ন হইল । যে সকল