পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

< পাল ও বর্জিনিয়া সেই সাধুশীলা বালার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাধানে তাদৃশ প্রেম ও মোহ প্রকাশ করিয়াছিল । ভাগ্যক্রমে সেই পুণ্যবতীর সমাধির চতুর্দিৰুে সৰ্ব্বজাতীয় স্ত্রীপুরুষ একত্রে দণ্ডায়মান হইয়া সেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সাধনে যত্ব করিতে লাগিল । সমাধি দিবার জন্য যখন খাত খনন করা হয়, তৎকালে কতিপয় দীন দুঃখিনী বালিকা বজ্জিনিয়ার অভাবে আপনাদিগকে একেবারে জন্মের মত হতাশ। বোধ করিয়া সেই গর্ভের ভিতর ঝাপিয়া পড়িতে উদ্যত হইয় ছিল ; কিন্তু তাহাদিগকে রক্ষকের নিব|রণ করিল । তাহারা তখন মনে২ বিবেচনা করিল, যে বজ্জিনিয়া আমাদের দুঃখে দুঃখ বোধ করিতেন পরমেশ্বর তঁহাকে লইলেন, অতএব আমাদের এখন বাচিয়া থাকায় ফল কি ? উহার সঙ্গে সঙ্গেই যদি মরিতে পারি তাহা হইলে ও আমাদের পক্ষে তাল হয় । নিয়মিত উপাসনার পর গিরিজ হইতে আসিবার সময়ে যে বাঁশতলায় বজ্জিনিয়া মায়েরদের সঙ্গে উপবেশন করিত সেই স্থানেই তাহার সমাধি হইল । অস্তোষ্টিক্রিয়ার পর প্রত্যাগমনের সময় গবর্ণর কেবল জনকতক লোক সমভিব্যাকারে বিবি দিলতুরের গৃহে উপস্থিত হষ্টয়া যথোচিত সান্তনাপুৰ্ব্বক তাহার নির্দয় পিসীর উপর অনেক দোষ দিতে লাগিলেন। পরে পালকে সান্ত না করিবার জন্য একবার তাহার নিকটও গমন করিলেন, এবং কহিলেন “শুন প্রিয়তম পাল! তোমার ও তোমার পরিবারবর্গের কিসে মুখ সমৃদ্ধি হয় ইহা অামার নিতান্ত বাস না ।