পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । २ ? সীমার বাহিরে কি আছে তাহ কিছুই জানিত না। তাধিক আর কি বলিব, তাহারা এই উপদ্বীপকেই সমগ্র পৃথিবী বলিয়া বোধ করিত। তাহাদেৱ আশাভরস। সমস্তই এ সকল স্থানের বস্তুর উপরি ভিন্ন আর কিছুতেই ছিল না । মার গ্রেট ও বিবি দিলাতুরের যে ক্ষমতা ছিল, তাহ পরম্পরের উপকার ভিন্ন আর কুত্ৰাপি নিয়োজিত হইত না । পাল ও বর্জিনিয়ার কোমল মন কখন বিজ্ঞানশাস্ত্রের অালোচনায় বিরক্ত হইত না । শিক্ষকের শাসনে কখন তাঁহাদের নয়ন হইতে অশ্রুবারি বিগলিত হইত না । ফলে স্বভাবগুণে যাহাদের মনে কখন অনীতির সঞ্চারই হয় নাই, তাহাদের নীতিশিক্ষার বিষয়ই বা কি ? । লাভ ও অলাভ, জয় ও পরাজয় যাহ। কিছু সকলই তাহাদের একাকার ছিল, সুতরাং যদি তাহাদের এক জন অপরের দ্রব্য লইয়া ব্যবহার করিত, তাহা হইলে অপরে তাহা চৌর্য্য দোষ বলিয়া ধৰ্ত্তব্য করিত না । শাক পাত ফল মুলই তাহাদের নিয়মিত আহার ছিল, তদ্ভিন্ন যাহাতে রূচি হইত তাহাও খাইত। এই সকল কারণ বশতঃ কোন বিষয়ে তাহীদের অপরিমিতাচার ঘটিয়া উঠিত না । শিশুদিগের মধ্যে, এমন কোন বিশেষ দ্রব্য ছিল না যে এটি অমুকের অসাধারণ, কিন্তু অমুকের নয়, এই কথা লইয়া কোন বিবাদ উপস্থিত হয়। সুতরাং তাহীদের পরস্পর প্রতারণা করিবারও ইচ্ছ। হইত না । শিশুর জননীদের উপর যাহার পর নাই ভুক্তি ও শ্রদ্ধা করিত। জননীরাও নিতান্ত সন্ততিবৎসল ছিলেন । সুতরাং " পিতা মাতার দ্বেষ