পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া একটা কঠিন প্রশ্ন করে সুনীলকে । দশ বারটা ছবি দেখে ওই সব বই পড়ে আপনার একটুও মজা লাগে নি? আমি খুব সিরিয়াসলি জিজ্ঞাসা করছি কিন্তু। আজকের ছবিটা বড় বেশী নোংরা-একেবারে বীভৎস। দু’একটা কম নোংরা ছবি দেখে আমি কিন্তু কিছুটা মজা পেয়েছি। আপনি একটুও পান নি ? কিছুক্ষণের জন্য ? সুনীল বলে, মজা ? আমার কেবলি মনে হয়েছে এত সস্তা। মজা দিয়ে এরা লোক ভুলায় কি করে । ব্যাপারটা কি তা অবশ্য জানি, খেতে না পেলে মানুষ ডাষ্টিবিন ঘেটেও খিদে মেটায়-তবু অবাক লেগেছে। এখানে নামা যাক । সুন্দর একটি বাধানো ঘাট আছে । চেনা যায়গা ? ছেলেবেলা বছর দুই এখানে ছিলাম । তার ঘাটে গিয়ে বসে। সুনীল জিজ্ঞাসা করে, গা ঘিনীঘিন করা কমেছে ? মায়া হেসে বলে, হঁ্যা, ও আর কতক্ষণ থাকে ? শীতের শেষের নিন্ধ হওয়া বইছে। এপারে ওপারে কলকারখানার ঘন বস্তির আলোকমালা । কথা তাদের আপনা থেকেই কমে আসে। কথা বলার অবকাশ পাবে অনেক, নদীর ধারে এভাবে বসে বিশ্রামের অবকাশ পেয়েছে অনেকদিন পরে । বড় বেশী খাটতে হয়। দুজনকেই। Rr