পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ এই স্বাধীনতা সে পেয়েছে-আপিস টাইমে আপিসের মধ্যে সিগারেট ধরিয়ে টানা । কারো কিছু বলার নেই করার নেই। তার সিগারেট ধরানো সিগারেট টানার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না । নিৰ্ভয় নিশ্চিন্ত মনে আপিসের মধ্যে সিগারেট টানার প্রথম স্বাধীনতা ভোগকে কেউ গ্ৰাহও করছে না ! ब्रांश bgcड थicक दूcभcभद्ध भgस्त्र । সিগারেটটা শেষ করে আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে প্ৰায় রতনবাবুর সুর নকল করেই সে বলে, ষ্টেটমেন্টটা আমায় দেখিয়ে নেবেন সুনীলবাবু। সুনীল ধীর গলায় বলে, অঘোরবাবু একটা এষ্টিমেট চেয়েছেন, আমি সেটা তৈরী করছি। অঘোরবাবু এটা নিজে দেখবেন। রমেশ ধৈৰ্য্য হারিয়ে চেচিয়ে ওঠে, আহা, অঘোরবাবুই তো দেখবেন । ওঁকে দেখাবার আগে আমায় একবার দেখিয়ে নেবেন । সকলে এবার মুখ ফিরিয়ে তাকায় তার দিকে । কোম্পানী তিরিশ বছরের কিন্তু মাত্র গত যুদ্ধের টাইমে কোম্পানীটা বড় হওয়ায় এবং বড় আপিস সৃষ্টি করতে বাধ্য হওয়ায় এই ঘরটায় আপিসের ঐতিহ্য মোটে পাঁচ ছ’ বছরের। তবু, গত পাঁচ বছরের মধ্যে আজই যেন নাটক সুরু হল এমনি নাটকীয় ভাবে থম থম করে ঘরটা । মিনিট দুই চুপচাপ। রমেশের হুকুম শুনেও সুনীল যেন কিছুই বলবে না। তাকে কেয়ার করবে না । এই দুমিনিটেই রমেশ ভয়ে ঝিমিয়ে যায়। অঘোরবাবুর বিশেষ কাজের, হয় তো বা গোপনীয় কাজের কাগজপত্রে নাক গলাতে চেয়ে সে বোকামি করে ফেলেছে। শুনে যদি অঘোরবাবুর রাগ হয়! و&9\