পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছর চব্বিশেক বয়স হয়েছে কিন্তু একটা করুণ লাবণ্যে মুখখানা কচি দেখায় বলে বয়স আরও কম মনে হয়। মুখের রোমের জন্য যদিও লাবণ্য চােখে পড়ে না। বাইরের ঘরে চৌকিতে বসে বলে, সুনীলবাবু খাচ্ছেন ? আচ্ছা আমি বসছি। সুনীল সবে খেতে আরম্ভ করেছিল। বিভা এসেছে শুনে সে উঠে মুখ হাত ধুয়ে বাইরের ঘরে আসে।

খাওয়া ফেলে উঠে এলেন ?

8 थीG 9ांवोंgद आ ।

আমিও কি পালাতাম নাকি ? একটু নয় বসতাম !

চৌকীতে বিভার কাছে বসে সুনীল সকলকে ভিতরে যেতে বলে ।

তোমার নাকি গুরুতর বিপদ ?
gन्e 6डi gशgवन नों ?

ঃঃ আমি ভাবলাম এমনি খেয়ালের বশে ডেকেছি। তেমন কিছু হলে মুখে বলে না পাঠিয়ে চিঠি লিখে দিতে।

বিপদে পড়েছি শুনেও যাবেন না এটা ভাবতে পারিনি।

প্ৰচণ্ড রাগ আর অভিমান হয়েছে টের পাওয়া যায়। কিন্তু প্ৰকাশটা হয় খুব মৃদু। সেও তো জানে সুনীলকে ভালভাবেই। একটানা চার বছর সে তাকে ইংরাজী পড়িয়েছে। নিছক হৃদয়াবেগের কি আর কোন মূল্য আছে সুনীলের কাছে। সুনীল মৃদুস্বরে বলে, তোমার কি বিপদ হতে পারে। আর আমি তোমার কি কাজে লাগতে পারি ভেবে পাচ্ছি না। এক রমেশবাবুর ব্যাপারটা হতে পারে বিভা চোখ বড় করে বলে, নিজেই বুঝতে পেরেছেন তাহলে ? আপনি এত বোঝেন অথচ

কিন্তু এ ব্যাপারে আমায় টানবে কেন সেটাই যে বুঝতে পারছি না।

বিভা ব্যাকুলভাবে বলে, কি যে ঢুকেছে৷ বাবার মাথায়, আমার বিয়ে দেবার জন্যে পাগাল হয়ে উঠেছে। তাও আবার আপিসের কারে সঙ্গে দেওয়া চাই! 8●