পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্ত দল আর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বরূপ, তাদের প্রত্যেকটি কাৰ্যকলাপের আসল উদ্দেশ্য, চিনিয়ে দেবে কে দেশের শত্রু কে মিত্র, তীব্ৰ তীক্ষ্ম আঘাতে নস্যাৎ করে দেবে মতলববাজি সুবিধাবাদী মানুষদের । কিন্তু কোন ভাষার কাগজ ? বাংলা না ইংরাজী ? দু'রকম হলেই ভাল। কিন্তু সেটা যখন সম্ভব নয়, ইংরাজীতে কাগজ বার করতে হবে প্ৰথমে । এ কাগজ তো কেবল বাংলাদেশের স্বালাঁ দেখবে না-সারা ভারতের জনসাধারনের স্বার্থরক্ষাই হবে এ কাগজের ব্ৰত । এই কাগজ বার করা নিয়ে সংঘাত লাগে বড় ভাই বিনোদের সঙ্গে। ভাগাভাগি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় দু’জনের-সর্বস্ব পণ করে প্রমোদ এই কাগজ বার করে । সঙ্গে ছিল আরেকজন বন্ধু। তারা টাকা ঢালে নি, কিন্তু অন্যভাবে সাহায্য করেছিল। আবার বন্ধুভাবে শক্ৰতা করেছিল অনেকে। নন্দ চুপ করলে সুনীল বলে, কাগজটা বার হবার সময় একটা হৈ-চৈ হয়েছিল মনে আছে। তারপর আর বিশেষ কিছু শুনি নি। নন্দ সায় দিয়ে বলে, লোকে তেমনভাবে নিল না কাগজটা । উনি ভেবেছিলেন প্ৰত্যেকটা কাগজ একটা দলের হয়ে একপেশে কথা বলে, লোকের • মাথা গুলিয়ে দেয়, এরকম একটা অদলীয় স্পষ্টবাদী কাগজ লোকে হৈ চৈ করে নেবে। কিন্তু তা হল না। এখনো ওই টেনে টেনে কোনরকমে চলছে। আমিও ঠিক বুঝিনে ব্যাপারটা। সুনীল ধীরে ধীরে বলে, আদলীয় মানুষ হয় না, অদলীয় কাগজও হয় না। মানুষ হােক কাগজ হােক, একটা পক্ষ নিতেই হবে। কেন ? আমি তো রাজনীতি নিয়ে মাথাই ঘামাই না, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আছি। অবশ্য আমায় যদি মানুষ বলে গণ্য না করেনা • • • • • সুনীল শান্তভাবে হাসে । নিজেকে আপনি নিরপেক্ষ মনে করেন। কিন্তু মনে করলেই তো সেটা সত্যি جول