পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন যার দায়িত্ববোধ সে কখনো দৃঢ়চেতা শক্ত সমর্থ একটা পুরুষের সংস্পর্শে এলেই প্রেমে পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে না। কিন্তু প্ৰেম সম্পর্কে তার নিজের এমন বিতৃষ্ণা কেন ? অনেকদিন পরে আজ আবার প্রশ্নটা তার মনকে বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছে। , নন্দা সহজে তার প্ৰেমে পড়বে না। এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হয়ে সে যে বিশেষভাবে স্বন্তি বোধ করছে—এটাই তুলে বড করে ধরেছে। প্রশ্নটাকে । নারীপুরুষের পরস্পরের আকর্ষণ মোটেই তুচ্ছ বাজে ব্যাপার নয়। তার কাছে, নারীদেহ বর্জন করেই পুরুষের শুদ্ধ পবিত্ৰ উচ্চতর জীবন সম্ভব, এই ধাপ্লাবাজিতেও সে বিশ্বাস করে না। নারীপুরুষের মিলন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনেরই একটা অঙ্গ। বৃহত্তর জীবনের জন্য বড় দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনেই কেবল সংযমের মানে হয়, নিজের আর আধ্যাত্মিক প্ৰয়োজনের ফকির খাতিরে সংযমের নামে আত্মপীড়নকে সে অসুস্থত, বিকারগ্ৰস্ততা বলেই জানে। নৈতিক কোন কুসংস্কারের ধার সে ধারে না। অথচ প্রেমের নামেই বিমুখ হয়ে ওঠে তার হৃদয় মন। টুইসনি খুজতে বেরিয়ে পৰ্য্যন্ত সে এমন ছাত্রী বেছে নেয়, যে তার প্ৰেমে পড়ে যাবে এ আশঙ্কা অপেক্ষাকৃত কম ! আরও একটা কথা আজ খেয়াল হয়। সুনীলের। খেয়াল হয় ষে ঘটনাচক্ৰে , যে দুটি টুইসনির খোজ পেয়েছিল, দুটিতেই ছিল মেয়েকে পড়বার প্রয়োজন। তার মধ্যে একজনকে সে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু এদের দুজনকেই বাতিল করে কোন ছেলেকে পড়বার টুইসনি খুজে নেবার কথা তো তার মনেও আসেনি ? তার বিতৃষ্ণ কি তবে প্ৰেম সম্পর্কে নয় ? রেবার মত উমার মত মেয়েরা যেটাকে প্ৰেম মনে করে সেটাই তার অপছন্দ ? DD BBD DBS DD DS K BDD DS SLLBB DBS DBDB D এদের কাছে। ভুল বুঝে থাকতে পারে রেব, কিছুদিন বাদে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে তার প্ৰেম, কিন্তু এই প্রেমকে আশ্ৰয় করে তুবড়ির মতই তো প্ৰচণ্ড NA