পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তিতে উৎসারিত হয়ে উঠেছে সরল ছেলেমানুষ মেয়েটার আবেগ, কল্পনা, স্বপ্ন, অনুভূতি, সব কিছু। হয় তো এই উন্মাদনাই প্ৰেম-প্ৰেম ব্যাপারটাই এরকম, সে পছন্দ করুক আর না করুক। এইরকমই রীতিপ্ৰকৃতি প্রেমের। সে যে গুরুগম্ভীর ভারিক্কি প্রেমের কথা ভাবে সেটাই একটা অসম্ভব অবাস্তব रकाका भएी ! প্ৰতিদিনের মত আজও রেবা দাড়িয়ে আছে বাড়ীর সামনের চার পাঁচ হাত লম্বা চওড়া বাগানটুকুতে । আজকাল রেবা শান্ত সংযতভাবে কথা বলে, একটু উদাসীনভাবে। মুখে থমথমে ভাবটুকু বজায় থাকে। কিন্তু সেটা ক্ষোভ বা অভিমানের জন্য মনে হয় না, এটা যেন তার নীরব ভৎসনার প্রতীক । আমার বইটা এনে রেখেছেন ? ওদিকে যাবার সময় পায়নি । রেব অভিমান করে না ! বলে, তা সত্যি, সারাদিন যা খাটুনিটা খাটেন। আবার টুইসনিটা কেন নিতে গেলেন বলুন তো ? বাড়ীর লোকেরাই নয় একটু কষ্ট করত। সুনীল বলে, কষ্ট কি আর ওরা করছে না। কষ্ট করাটা নিস্ফল হচ্ছে এই যা আপশোষ। তুমি এক কাজ কর না কেন ? লাইব্রেরী থেকে নিজে বই এনে তো পড়তে পার ? তার মুখে হঠাৎ আজ তুমি শুনে রেবা যেন চমকে ওঠে। বোঝা যায় ভেতরে তার তোলপাড় করে উঠেছে। কোনমতে বলে, ওসব বই কি সাধারণ লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় ? তা বলতে পারব না। বইটা আমি আনব, কবে আনব বলতে পারছি না। আনলে তোমায় পড়তে দেব। ‘, যেখানটা বুঝব না বুঝিয়েও দিতে হবে কিন্তু । dør