পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর মায়া বেশ খানিকক্ষণ অত্যন্ত চিন্তিতভাবে চুপ করে থেকে মাঝে মাঝে চোখ তুলে তার দিকে তাকায়। মায়া চিন্তা শেষ করে মুখ খুলতে অনেক সময় নেবে টের পেয়ে সুনীল নিজে থেকে বলে, না, তা হয় না। আমি রাজী হব না। মায়া তাজব বনে বলে, মানুষের মনের কথাও টের পান নাকি ? সুনীল সহজ ভাবেই বলে, সময় অবস্থা যোগসুত্র অনেক কিছু ধরে বিচার করলে পাওয়া যায় বৈকি ? এতক্ষণ ওদের কথা বলার পর ওদের বিয়ে দিয়ে সব হাঙ্গামা চুকিয়ে দেবার কথাটা আপনার মনে হওয়া আশ্চৰ্য্য নয়। আমাকেও কথাটা ভাবতে হয়েছে। टऊि झूद न, ना ? নিশ্চয় না। তার চেয়ে ওরা বখাটে হয়ে যায় তাও অনেক ভাল। বখাটে হলে শোধরাবার আশা আছে, বিয়ে দিলে আর কোন আশা নেই। মায়। নিশ্বাস ফেলে বলে, কিন্তু ছায়ার কি উপায় হবে ? সুনীল বলে, কি আশ্চৰ্য্য, এই বিজ্ঞানের যুগে ওই সামান্য ব্যাপার নিয়ে আপনার এত দুর্ভাবনা ! ডাক্তাররা আছে কিওজন্য ? ভয় পাবেন না, আমি সব ব্যবস্থা 夺乙颈C丽夺目 মায়া বিদায় না নিয়েই নীরবে উঠে চলে যায়। এটা আজ নতুন নয়- এক বাড়ীতে দিনে যাদের দশবার দেখা হয় কথা হয় তাদের মতই কথার শেষে কখনো শুধু যাই বলে কখনো কিছু না বলে চলে যাওয়া তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তাদের এই স্বভাবের জন্য আজ অসুবিধা হয়। কল্পনার । সে খোলা দরজার পাশে দাড়িয়ে কাম পেতে ভিতরে তাদের কথা শুনছিল ! মায়া হাত বাড়িয়ে কান ধরতে তার মুখখানা রাঙা হয়ে যায় বটে। কিন্তু মায়ার হাত চেপে ধরে টানতে টানতে ও-ঘরে নিয়ে গিয়ে সে চাপা গলায় বলে, বেশ করেছি শুনেছি। নইলে কি তোমাদের এ রহস্য কোনদিন ভেদ করতে পারতাম ম্যাদি ! A.