পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাকেনি, অন্তরঙ্গ সকলের কাছে নিজের ভান্য সমেত সেই কথাগুলি বলেও বেড়িয়েছে বোকার মত । কিন্তু কল্পনার নয়। বিয়ে হয়ে গেছে, সে এখন পরের বাড়ীর মেয়ে, সুনীলকে সে আর এতটুকু ভয় করতে রাজী নয়। বরং গায়ে পড়ে দেখাতে চায় যে আমি তোমায় একটুও ভয় করি না । কিন্তু নবীনের এ দুঃসাহস কোথা থেকে এল ? কল্পনার কাছে সব শুনে তার ভয় উপে গেছে ? সুনীল ধীরে ধীরে বলে, অনিলকে শাসন করলে সেটা কর্তালি হত না তোমাদের হিসাবে ? নিশ্চয় না । ওটা হত শাসন । কিন্তু যেখানে শাসন করতে সাহস হয় না। সেখানেই তো উদার নির্কিবকারতা দিয়ে কর্তালি করা সুবিধা । অনিলের সম্পর্কে আপনার ভাবটা এই যে তোমার ওসব ছেলেমানুষি ব্যাপার নিয়ে আমার মাথা ঘামাবার সময় নেই। সুনীল আর কিছু বলে না। আপিস ছুটির পর সুনীল টাইপরাইটারে গিয়ে বসে। পকেট থেকে হাতে লেখা কাগজ বার করতে দেখে নবীন জিজ্ঞাসা করে, আরেকটা প্ৰবন্ধ লিখেছেন ? কি বিষয়ে ? তোমাদের বিষয়ে। আধুনিক কবিতা নিয়ে। আপনি আধুনিক বাংলা কবিতা পড়েছেন ? পড়েছি বৈকি। বেশী গদ্য পড়ার সময় পাই না। ট্রামে বাসেও কয়েকটা कदेिऊl °igg cमeच्न बाध्न । কুলতে ঝুলতে ? আমি হেঁটে গিয়ে ডিপো থেকে ট্রামে উঠি । নবীন ক্ষুব্ধ স্বরে বলে, তবু, ট্রামে কবিতা পড়ে সমালোচনা লিখেছেন ! ট্রামে শোকে ডিটেকটিভ বই পড়ে । খুব নিন্দা করেছেন তো ? " , PAO