পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুমতি চাই না, কবিতা না পড়েও আমার দী বলে তর্ক করতে দিয়ে আমি করলেন জানতে চাই। কবিতা না পড়েই মঙ্গ সুনীল হাসে । সে হাসি শূলের মত কেরে না, শুধু চুপ করে থাকে। সুনীল সিগারেটা ধরিয়ে বলে, প্ৰাণ ৰ্ণ গুছিয়ে নিয়ে তার ইংরাজীতে লেখা বাংলা শুনলাম জানলাম বুঝলাম। কবি-ত আরম্ভ করার আগে মুনীল বলে, নবীন, কাল কবিতা লেখে ? ধান গাছটালে বলবে না । আপিসের কাজের জন্য দরকারী কথা পারব না। এ গাছে ধান ছাড়া ৰণাৰে “ী । ७। श्लआनद्ध श्यूम नम-अश्(ब्राक्ष। নবীন যেন স্তম্ভিত সদ্য টাইপ করে যায় । আপনি “মুণগুলির দ্রুত স্বচ্ছন্দগতির দিকে চেয়ে নবীন অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে, হঠাৎ বলে, কি দোষ করলাম ? সুনীল যেন শুনতেও পায় না । নবীন রেগে বলে, বেশ । তাই হোক। আমি কিন্তু এ জীবনে আপনার সঙ্গে আর কথা কইব না। আজ কত বড় অন্যায় করলেন একদিন নিশ্চয বুঝবেন। সেদিন ক্ষমা চাইলেও কথা কইন না । সুনীল ফিরেও তাকায় না। রাগে নবীন থারথার করে কঁপিছিল। তীক্ষ্ম বিদ্রুপের সুরে বলে, আচ্ছা, নমস্কার ! গুড ইভনিং ! রাম রাম ! টাইপ করা বন্ধ রেখে সুনীল একটু ভাবে । নবীনের বেয়াদপি তাকে মোটেই বিচলিত করেনি। গায়ের জালায় তার ওরকম ঝাঝালো কিন্তু সস্তা বিদ্রুপ করাটাই প্ৰমাণ করেছে যে নবীন এখনো ছেলেমানুষ । এটা সে কি হিসাবে ধরেনি ? এটা বিবেচনা না করেই তার অন্ধ আত্মগ্ৰীতি আর একওঁয়েমির জন্য কথা বন্ধ করার সাজা দিয়েছে ? তা হোক। এখন ছেলেমানুষী কাটিয়ে ওঠার সময় হয়েছে - নবীনের । ভাবপ্রবণতা কাটিয়ে ওঠাই তার উচিত। অঘোর নীচে নামবার সময় দরজার কাছে দাড়িয়ে বলে, এখনো কাজ করছি ?