পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাগজটার সম্পাদনা করে নিখিল, কিন্তু সম্পাদক হিসাবে নাম ছাপা হয়। 2Vos একটা উদ্ভট সম্পাদকীয় ছাপা হবার দায়ে প্রদ্যোতকে কিছুদিনের জন্য জেলে GCVS I সে এক অদ্ভুত খাপছাড়া ঘটনা। যে সম্পাদকীয় ছাপানোর জন্য প্ৰদ্যোন্তের জেল হল, সেদিন সকালে কাগজটি বার হলে সম্পাদকীয় পন্ডে সকলেই প্ৰায় চমকে গিয়েছিল ! সুনীল ভেবেছিল, মাথা কি খারাপ হয়ে গিয়েছে নিখিলের ? এতো জার্ণালিজম নয়-এতো স্রেফ উন্মত্ততা ! খুব কড়া, খুব গরম সম্পাদকীয় লেখারও একটা কায়দা আছে, এ লেখায় সমস্ত কায়দা গিয়েছে বাদ, উন্মাদের প্রলাপ দিয়ে প্ৰাণপণে শুধু চেষ্টা করা হয়েছে লেখাটাকে ভয়ানক রকম বেআইনী করে তোলা । নন্দাকে পাডাতে গিয়ে দ্যাখে, সমস্ত বাড়ীটা যেন স্তব্ধ হয়ে আছে । সুনীলের বাউীর ভেতরে যাবার আহবান আসে। ভেতরের একটা ঘরে নন্দা, শচীন, প্রস্থোত আর অনুকুল বসে জটিল চালাচ্ছেন। অনুকুল ব্যারিস্টার। শচীন জিজ্ঞাসা করে, কাগজ পড়েছ আজকের ? এডিটোরিয়াল ? পড়লাম বৈকি ! এটা কি ব্যাপার হল হঠাৎ ? আমরাও তাই বুঝবার চেষ্টা করছি। অর্থাৎ ওটা প্ৰদ্যোন্তের লেখা নয় ? নন্দা বলে, এতকাল পরে আপনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন । দাদার নামটাই শুধু সম্পাদক হিসেবে ছাপা আছে জানেন না ? দাদা কখনও সম্পাদকীয় লেখে নাকি ! এই সব রিস্কের জন্যই মাইনে করা সম্পাদকের নাম ছাপ রীতি। নন্দ হেসে বলে, দেখুন না। দাদার পাগলামি। নিখিলবাবুকে মাইনে দিয়ে RS