বা ভ্রাতুষ্পুত্রের বাক্য নিঃসৃত হইবার পূর্ব্বেই তিনি তাঁহাদিগকে আশ্বাস দিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি বলিলেন যে, অধঃপতনের সময় হইলেই এইরূপ ঘটনা ঘটিয়া থাকে, ইহা নিবারণ করা মনুষ্যের সাধ্যায়ত্ত নহে; তবে তিনি স্বয়ং রাজসদনে উপস্থিত হইয়া রাজবংশীয় কোন ব্যক্তির যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা জ্ঞাপন করিবেন। প্রধান সেনাপতি মহাবলাধিকৃত অগ্নিগুপ্ত ও প্রধান বিচারপতি মহাদণ্ডনায়ক রামগুপ্ত মন্ত্রীর বাক্য সমর্থন করিলেন। পরক্ষণেই পলিতকেশ সচিব তোরণ মধ্যে প্রবেশ করিলেন। কুমারগুপ্ত তখনও সেই ভাবে বসিয়া আছেন, মহিষী নিদ্রিতা; বালক পুরগুপ্ত আলম্বনের উপরে আরোহণের চেষ্টা করিতেছে। বৃদ্ধ সচিব ও বৃদ্ধ সম্রাটে প্রায় একদণ্ডের অধিক কাল কথোপকথন হইল। বহু বাক্য ব্যয় করিয়া রাজনীতিকুশল দামোদরশর্ম্মা বৃদ্ধ সম্রাট্কে কুমার স্কন্দগুপ্তের প্রতিনিধিত্বে সম্মত করাইলেন, কিন্তু সপত্নীপুত্ত্রের নাম শ্রবণ মাত্র মহিষীর নিদ্রাভঙ্গ হইল। বর্ষীয়ান্ সম্রাট্ সভয়ে বলিয়া উঠিলেন যে, গুরুতর রাজকার্য্যে মহাদেবীর পরামর্শ আবশ্যক। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ রোষে কম্পিত হইয়া উঠিলেন। মহাদেবীর আদেশ হইল, ত্রয়োদশবর্ষীয় কুমার পুরগুপ্ত হূণযুদ্ধে সম্রাট্ কুমারগুপ্তের প্রতিনিধিস্বরূপ মহাবলাধিকৃতের সঙ্গী হইবে। দামোদর শর্ম্মা অপেক্ষাকৃত গুরুতর বিপৎপাতের আশঙ্কা করিয়া বেষ্টনী হইতে বহির্গত হইলেন। শুষ্ককণ্ঠে যুবরাজপাদ দামোদর শর্ম্মা যখন সর্ব্বসমক্ষে মহাদেবীর আদেশ প্রচার করিলেন, তখন সকলেই বুঝিতে পারিলেন যে, সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বের শেষ দশা আগতপ্রায়। বিষণ্ণ বদনে সকলে স্তূপসন্নিধান হইতে প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন, ও
৯৯