পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাষাণের কথা

পরিত্যাগ করিতেছেন শুনিয়া অনেকেই চক্র পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন; কিন্তু ভাণ্ডাগারিক ইন্দ্রগুপ্ত কর্ত্তৃক আশ্বস্ত হইয়া পুনরায় উপবেশন করিলেন। ইন্দ্রগুপ্ত সম্রাটের নামাঙ্কিত নূতন সুবর্ণমুদ্রা বিতরণে প্রবৃত্ত হইলে ভীষণ কোলাহল উত্থিত হইল। বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণ চক্র পরিত্যাগ করিয়া ভাণ্ডাগরিককে বেষ্টন করিলেন। সুবর্ণের নাম শ্রবণে মধুভাণ্ড পরিত্যাগ করিয়া ভিক্ষু ও শক্তিগণ শৌণ্ডিকবীথি হইতে স্তূপাভিমুখে অগ্রসর হইলেন। নাগরিকগণ ব্যাপার দেখিয়া দূরে অপসরণ করিল। বহু কষ্টে সৈনিকগণের সাহায্যে সুবর্ণ-বণ্টন আরদ্ধ হইল। মর্য্যাদা অনুসারে বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্ব, শক্তি, ভিক্ষু ও শিষ্যমণ্ডলীকে অর্থ প্রদত্ত হইল। তৃতীয় প্রহরে কার্য্য শেষ হইল। তখন জনৈক বুদ্ধ কোন মধুবিহ্বলা বিবস্ত্রা তরুণী শক্তিকে শৌণ্ডিকালয় হইতে বলপূর্ব্বক আনয়ন করিতেছিলেন। মধুপানের আধিক্যপ্রযুক্ত সুবর্ণের লোভ সম্বরণ করায় বুদ্ধ তাঁহাকে সাহায্য করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। ইন্দ্রগুপ্ত ইঁহার মর্য্যাদা রক্ষা করিয়াই বেষ্টনী হইতে প্রস্থান করিলেন। অপরাহ্নে জনসঙ্ঘ স্তূপাভিমুখে প্রত্যাবর্ত্তন করিল। সন্ধ্যাগমে প্রাচীন রীতি অনুসারে স্তূপ ও বেষ্টনী আলোকমালায় সজ্জিত হইল, নাগরিক ও নাগরিকাগণ ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন। বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব ও শক্তিগণ যথাসাধ্য সজ্জা করিয়া তাঁহাদিগের সহিত মিশ্রিত হইতে লাগিলেন। তখন প্রতীহার ও নগররক্ষিগণ পথ রক্ষা করিতেছিল। প্রথম প্রহর অতীত হইলে উৎসবস্রোত মন্দীভূত হইল। শ্রুত হইল, জনৈক বুদ্ধ কোন তরুণী নাগরিকার অঙ্গে হস্তক্ষেপণের জন্য তাহার স্বামী কর্ত্তৃক আহত হইয়াছেন; একজন বোধিসত্ত্ব জনৈক নাগরিকের কন্যাকে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করাইয়া রজনীর অন্ধকারে প্রস্থান করিয়াছেন, রক্ষিগণ তাঁহাদিগের অনুসন্ধানে নির্গত

১৪৫
[ ঞ