পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৪ ]

তক্ষশিলা—ইহার ধ্বংশাবশেষ রাওলপিণ্ডি জিলার সরাইকালার নামক স্থানে অবস্থিত। ইহাই গ্রীক্‌দিগের ট্যাক্‌সিলা (Taxila)।

তীরভুক্তি—বর্ত্তমান নাম ত্রিহুৎ বা তির্‌হুৎ।

তুষিতস্বর্গ—বৌদ্ধ মতানুসারে একটী স্বর্গের নাম।

ত্রিগর্ত্ত—বর্ত্তমান নাম কাঙ্গড়া।

ত্রিরত্ন—বৌদ্ধ Trinity, রত্নত্রয়ের নাম ধর্ম্ম, বুদ্ধ ও সঙ্ঘ।

থৈদোর—গ্রীক্ নাম (Theodoros)।

দশপুর—বর্ত্তমান নাম মন্দশোর, ইহা মালবের একটী প্রাচীন নগর।

দশশীল—বৌদ্ধধর্ম্মের দশটী নিয়ম।

দণ্ডপাশিক—ফৌজদারী বিভাগের কারাধ্যক্ষ।

দেবপুত্র—কুষণবংশের সম্রাটগণের উপাধি। প্রাচীনকালে চীনের সম্রাট, পারদ-সম্রাট ও কুষণ-সম্রাট এই উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন।

ধর্ম্মচক্র—বুদ্ধদেব বারাণসীতে প্রথম ধর্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন, বৌদ্ধশাস্ত্রে তাঁহার নাম ধর্ম্মচক্রপ্রবর্ত্তনা। প্রস্তরশিল্পে ধর্ম্মচক্র প্রবর্ত্তনা দেখাইবার জন্য নিম্নলিখিত সাঙ্কেতিক চিহ্নগুলি ব্যবহৃত হইত:—

(১) চক্র—ইহার অর্থ বুদ্ধদেব কর্ত্তৃক প্রথম ধর্ম্মপ্রচার, (২) চক্রের নিম্নে দুইটী মৃগ,—ইহার অর্থ এই যে বারাণসীর উপকণ্ঠে মৃগদাব নামক স্থানে বুদ্ধদেব প্রথম ধর্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন।

নগরহার—ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের একট প্রাচীন নগর।