বর্ণমালার ন্যায় বহুলভাবে প্রচলিত নহে। সর্ব্বোচ্চ তোরণের মধ্যভাগে প্রস্ফুটিত অর্দ্ধকমলের উপর নবপত্রিকা ও তদূর্দ্ধে ধর্ম্মচক্র প্রতিস্থাপিত, ইহার উভয় পার্শ্বে প্রস্ফুটিত শতদলের উপর ত্রিরত্ন! ত্রিরত্নের অন্তর্ভাগ মৎস্যপুচ্ছাকার ও তাহার পার্শ্বে সুসজ্জিত অশ্বপৃষ্ঠে শ্বেতচ্ছত্র ও চামরদ্বয়। প্রতি তোরণের দক্ষিণ পার্শ্বের স্তম্ভে রাজার বংশপরিচয় উৎকীর্ণ, “সুঙ্গরাজ্যে গার্গীপুত্ত্র বিশ্বদেবের পৌত্ত্র, গৌপ্তীপুত্ত্র অগরাজুর পুত্ত্র বাৎসীপুত্ত্র ধনভূতি এই তোরণ ও শিলাকর্ম্ম সম্পন্ন করাইলেন।”
পূর্ব্ব তোরণের দক্ষিণ পার্শ্বের স্তম্ভে যে লিপি দেখিতে পাইতেছ, তদনুরূপ লিপি অপর তোরণত্রয়েও ছিল। দক্ষিণ তোরণের স্তম্ভদ্বয় হূণগণ অগ্নিসংযোগে বিনষ্ট করিয়াছে। সে কথাও বলিব, কিন্তু সে অনেক পরের কথা। অপর তোরণদ্বয়ের স্তম্ভগুলির ভগ্নাংশমাত্র তোমরা পাইয়াছ, কিন্তু তাহারাও এই পূর্ব্ব তোরণের ন্যায় উচ্চশীর্ষ হইয়া দাঁড়াইয়া ছিল; তাহারাও ভাবিয়াছিল যে, তাহাদিগের উচ্চশীর্ষ আর কখনও মেদিনী স্পর্শ করিবে না। কিন্তু মুসলমানের দণ্ডপ্রহারে, হূণের অগ্নিদাহে ও ব্রাহ্মণগণের পুনরভ্যুত্থানে তাহারাও পুনরায় ধরাশায়ী হইতে বাধ্য হইয়াছে। পূর্ব্বতোরণের পার্শ্বে যে স্তম্ভটি আছে, তাহা চাপদেবা নাম্নী বিদিশাবাসী রেবতীমিত্র নামক জনৈক শ্রেষ্ঠিপত্নীর দান। রেবতীমিত্রের পত্নী প্রতি তোরণের সান্নিধ্যে একটি স্তম্ভ স্থাপিত করিয়াছিলেন। এইরূপে জনসাধারণের সমবেত চেষ্টায় স্তূপবেষ্টনীর স্তম্ভ ও সূচিগুলি নির্ম্মিত ও যথাস্থানে স্থাপিত হইয়াছিল। প্রত্যেকের নাম তদ্দত্ত দ্রব্যে উৎকীর্ণ হইয়াছিল। আলম্বন কে দিয়াছিলেন, তাহা প্রকাশ পায় নাই, তবে নগরবাসিগণের কথোপকথন শ্রবণে জানিয়ছিলাম যে, আর্য্যাবর্ত্তবাসী জনৈক বিখ্যাত ব্যক্তি আলম্বন নির্ম্মাণের ও