পাতা:পাষাণের কথা.djvu/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পাষাণের কথা

 শুনিলাম সপ্তাহান্তে উৎসব হইবে। তক্ষণের ক্লেশ ভুলিয়া যাইলাম, উৎসব কিরূপ তাহা জানিবার জন্য বড়ই আগ্রহ জন্মিল। মনুষ্যজাতিকে অল্পদিন দেখিতেছি, যতই দেখিতেছি বিস্ময় ততই বর্দ্ধিত হইতেছে। সেই কৃষ্ণবর্ণ জাতি কোথায় গেল, সেই উজ্জ্বল শ্বেতবর্ণ জাতি কোথায় গেল,—শ্বেতকৃষ্ণ মিশ্রিত অপেক্ষাকৃত খর্ব্বাকার জাতি কোথা হইতে আসিল? এ সকল কথার মীমাংসা বোধ হয় আজও হয় নাই, কখনও হইবে কি না সন্দেহ। তবে যদি আমার ন্যায় অতীতের সাক্ষী আরও কেহ আইসে, আমা অপেক্ষা প্রাচীন কথার অবতারণা যদি কেহ করে, অথবা মনুষ্যজাতির সৃষ্টি হইতে তৎসংশ্লিষ্ট ব্যাপার সমূহে লিপ্ত অপর কেহ যদি নিজের বাক্‌শক্তি পরিস্ফুটিত করিবার চেষ্টায় সফলকাম হয়, তবেই এই প্রশ্নের মীমাংসা হইবে। কখনও মনুষ্যজাতির উৎসব দেখি নাই। নূতন দৃশ্য দেখিবার উৎসাহ ও দৃষ্টসমৃদ্ধির স্মৃতি এরূপ প্রবল হইয়াছিল যে, সে উৎসবের চিত্র অদ্যাপি আমার পরিস্ফুট আছে। নূতন বেশে, নূতন চিত্রে শোভিত হইয়া তক্ষকের শাণিত অস্ত্রাঘাতের দুর্ব্বিসহ যন্ত্রণাও বিস্মৃত হইয়াছিলাম।


৩৯