যূথপতি গর্ত্তের মধ্যে লম্ফপ্রদান করিয়া হরিণীকে কহিলেন “তুমি আমার পৃষ্ঠে পাদনিবেশ করিয়া গর্ত্ত পার হইয়া যাও।” তখন অপর সকলে লম্ফপ্রদানে গর্ত্ত পার হইয়া গিয়াছে। পরক্ষণেই ব্যাধ-নিক্ষিপ্ত শরে আহত হইয়া যূথপতি প্রাণত্যাগ করিলেন।
অপর স্তম্ভে নাগজাতক। একটি সরোবরতীরে তিনটি হস্তী দণ্ডায়মান। তন্মধ্যে একটি কুলীরক কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়াছে। কথিত আছে, বনমধ্যে এক বিশাল সরোবরে একটি অতি বৃহৎ কুলীরক বাস করিত। হস্তিগণ জলপানের জন্য সরোবরে অসিলে দশরথরাজ কোন একটির পদ দৃঢ়রূপে আমরণকাল ধারণ করিয়া থাকিতেন। হস্তীর মৃত্যু হইলে কিয়ৎকাল পর্য্যন্ত তিনি আহার পাইতেন। পরে বোধিসত্ত্ব হস্তিনীগর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়া কুলীরকের ব্যবহার শুনিলেন। একদা তিনি পিতার অনুমতি লইয়া সরোবরে গমন করিলেন। কুলীরক তাঁহাকে আক্রমণ করিল ও পরে তাঁহার পত্নীর অনুরোধে দয়ার্দ্র হইয়া তাঁহাকে পরিত্যাগ করিল। তাঁহাকে পরিত্যাগ করিবামাত্র তাঁহার পাদপেষণে কুলীরক বিনষ্ট হইল। অপর স্থানে ছদন্তজাতক অঙ্কিত আছে। কথিত আছে, হিমালয়ের নিকটবর্ত্তী ছদন্ত হ্রদের সান্নিধ্যে অষ্টসহস্র ষড়দন্ত হস্তী বাস করিত। বোধিসত্ত্ব এক সময়ে এই হস্তিযূথের অধিপতি ছিলেন ও তাঁহার মহাসুভদ্রা ও বুল্লসুভদ্রা নাম্নী দুইটী পত্নী ছিল। একদা যূথপতি একটি বৃক্ষ উৎপাটন করায় মহাসুভদ্রার নিকটে পত্রপুষ্প ও বুল্লসুভদ্রার নিকটে শুষ্ক পত্র ও শাখা মাত্র পতিত হইল। এই সময় হইতে বুল্লসুভদ্রা যূথপতির প্রতি বিরক্ত হইল ও বিগত পঞ্চশত বুদ্ধদিগের নিকটে প্রার্থনা করিতে লাগিল যে,