পাষাণের কথা
সে যেন পরজন্মে রাজকন্যা হইয়া জন্মগ্রহণ করে ও ব্যাধ প্রেরণ করিয়া যূথপতিকে বিনষ্ট করিতে পারে। বুদ্ধগণ তাহার আশা সফল করিলেন। বুল্লসুভদ্রা অল্পদিন পরেই মৃত্যুমুখে পতিত হইল ও কোন এক রাজার কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করিয়া কাশীরাজের সহিত বিবাহিতা হইল! সে পূর্ব্বপ্রতিজ্ঞা স্মরণ করিয়া পূর্ব্বস্বামীর নিধনের জন্য কৃতসঙ্কল্প হইল। তৎপ্রেরিত ব্যাধ তাহার নির্দ্দেশানুসারে ছদন্তহ্রদতীরে আসিয়া হস্তিযূথের গতিবিধি লক্ষ্য করিতে লাগিল। ব্যাধ দেখিল, হস্তিযূথপতি হ্রদের একই স্থানে প্রতিদিন স্নান করিয়া থাকেন। সে সেই স্থানে একটি গর্ত্ত খনন করিয়া উপরে শরনিক্ষেপের স্থান মাত্র রাখিয়া কাষ্ঠ ও মৃত্তিকার দ্বারা উপরিভাগ আচ্ছাদিত করিয়া স্বয়ং গর্ত্তমধ্যে লুক্কায়িত রহিল। পরদিবস যূথপতি স্নানার্থ আসিয়া শরাহত হইয়া প্রাণত্যাগ করিলেন। তাঁহার আর্ত্তনাদে অপর হস্তিগণ আসিয়া ব্যাধের অনুসন্ধান করিতে করিতে ভূগর্ভে কাষায়-পরিহিত ব্যাধকে দেখিতে পাইল। ব্যাধের মুখে সকল কথা অবগত হইয়া যূথপতি তাহাকে হত্যা করিতে সম্মত হইলেন না। তিনি বলিলেন “বুল্লসুভদ্রা সামান্য কারণে আমার প্রাণ হরণে কৃতসঙ্কল্প হইয়া আমার দন্তগুলির জন্য তোমাকে প্রেরণ করিয়াছে। কিন্তু আমার দন্ত লইয়া তাহার কোন উপকার হইবে না। তবে তুমি স্বচ্ছন্দে আমার দন্ত কর্ত্তন করিতে পার।” ব্যাধ দন্তগুলি স্পর্শ করিতে অক্ষম হওয়ায় যূথপতি তাহাকে শুণ্ডে উত্তোলন করিয়া ধারণ করিলে সে দন্ত ছেদন করিল; ইহার পর যূথপতির মৃত্যু হইল। চিত্রে বৃত্তমধ্যে বৃক্ষতলে চারিটি হস্তী দণ্ডায়মান। ব্যাধ ধনুর্ব্বাণ ভূমিতে নিক্ষেপ করিয়া দন্ত কর্ত্তন করিতেছে। কোন
৪৬