স্থানে স্তম্ভের মধ্যভাগে চতুষ্কোণ বেষ্টনের মধ্যে স্বর্গের বৈজয়ন্তপ্রাসাদ অঙ্কিত আছে। প্রাসাদ ত্রিতল, দ্বিতলে ও ত্রিতলে বাতায়নপথে অঙ্গনাগণের মুখ লক্ষিত হইতেছে, নিম্নতলে একটি গৃহে কতকগুলি দেবদেবী রহিয়াছেন। পার্শ্বে বিহারমধ্যে ভগবান শাক্যমুনির উষ্ণীষ রক্ষিত। মন্দিরের দক্ষিণ পার্শ্বে একজন পুরুষ চামর ব্যজন করিতেছে ও বাম পার্শ্বে একজন উপাসক করযোড়ে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। বিহার ও প্রাসাদের সম্মুখে অপ্সরোগণ নৃত্য করিতেছে ও ভূমিতে উপবিষ্ট পুরুষগণ বীণা প্রভৃতি যন্ত্র বাদন করিতেছে। শাক্যমুনির মহাপরিনির্ব্বাণের পর দেবরাজ ইন্দ্র তাঁহার উষ্ণীষ লইয়া স্বর্গে গমন করেন ও তথায় সদাসর্ব্বদা দেবগণ তাহার উপাসনা করিয়া থাকেন, অপ্সরোগণ নৃত্যগীত করিয়া থাকে। ভিক্ষু ঋষিপালিত এই স্তূপনির্ম্মাণকালে এই স্তম্ভটি দান করিয়াছিলেন। ইহার দুইপার্শ্বে চতুষ্কোণ বেষ্টনীর মধ্যে ছয়টি চিত্র আছে ও ইহাতে বৃত্ত বা অর্দ্ধবৃত্ত নাই। অপর পার্শ্বদ্বয়ে সূচী স্থাপনের জন্য ছয়টি ছিদ্র আছে। ইহার একপার্শ্বে উপরিভাগে বৈজয়ন্ত-প্রাসাদ ও উষ্ণীষ-বিহারের চিত্র অঙ্কিত আছে। এই পার্শ্বে সর্ব্বনিম্নের চিত্রে মগধরাজ অজাতশত্রুর বুদ্ধ-বন্দনার চিত্র অঙ্কিত আছে। চিত্রটি দুইভাগে বিভাগ করা যাইতে পারে। নিম্নে চারিটি হস্তী ও তৎপৃষ্ঠে দুইটি পুরুষ ও তিনটি স্ত্রীলোক। ইহার পরে বৃক্ষদ্বয়ব্যবধানে একটি চতুষ্কোণ বেদী ও তাহার সম্মুখে করযোড়ে নতজানু জনৈক পুরুষ। পশ্চাতে একজন পুরুষ ও চারিজন স্ত্রীলোক। কথিত আছে, রাজা অজাতশত্রু পিতৃহত্যা করিয়া বহুকাল যাবত অনায়াসে নিদ্রালাভ করিতে পারে নাই। শেষে তিনি তাঁহার ভ্রাতা
৪৭