পাষাণের কথা
কোন স্তম্ভে মধ্যদেশে অর্দ্ধবৃত্ত নাই। পূর্ব্ববর্ণিত আবরণে প্রথমস্তম্ভের ন্যায় নাগ বা যক্ষমূর্ত্তি, কোন স্তম্ভে বা অশ্বারুঢ় পতাকাবাহী পুরুষ বা স্ত্রীমূর্ত্তি দেখা যাইত। এইরূপে চুলকোক দেবতা, সুদর্শনা যক্ষিণী, সিরিমা দেবতা, চন্দা যক্ষিণী, সূচীলোম যক্ষ, কুবের যক্ষ প্রভৃতি নানাবিধ মূর্ত্তি দেখিতে পাওয়া যাইতেছিল। কোন স্তম্ভে বৃত্ত বা অর্দ্ধবৃত্তের মধ্যে নানাবিধ কৌতুকাবহ চিত্র অঙ্কিত হইয়াছিল। কোন স্থানে চারিটি বানর একটি হস্তীকে বন্ধন করিয়া লইয়া যাইতেছে। হস্তীর আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষার জন্য শুণ্ডে কাষ্ঠখণ্ড বন্ধন করিয়া দিয়াছে। একটী বানর বন্ধনরজ্জু ধরিয়া অঙ্কুশহস্তে হস্তীকে পথ প্রদর্শন করিয়া চলিয়াছে ও অপর তিনটি নৌকাগুণবাহীদিগের ন্যায় রজ্জুদ্বারা বিশাল জীবটিকে টানিয়া লইয়া যাইতেছে। দ্বিতীয় দৃশ্যে বানরগণ হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়াছে, পূর্ব্ববর্ণিত পথপ্রদর্শক হস্তীর স্বন্ধে আরোহণ করিয়াছে, একটি বানর দন্তে দণ্ডায়মান হইয়া চালককে কি বলিতেছে। নিম্নে তিনটি বানর বংশী ঢক্কা ও ডমরু নিনাদিত করিতেছে, দৃশ্যান্তরে একটি রাক্ষস আসনে বসিয়া আছে—একটি বানর তাহার নাসিকারন্ধ্রে বক্র লৌহনিবেশপূর্ব্বক লৌহের শেষভাগ ধরিয়া আছে, নিম্নে একটী ক্ষুদ্র বানর ক্ষুদ্র আসনে উপবিষ্ট হইয়া রাক্ষসের দক্ষিণহস্ত ধারণ করিয়া আছে। নাসারন্ধ্র সংন্যস্ত বক্রলৌহে রজ্জুখণ্ড আবদ্ধ করিয়া একটি হস্তীর গলদেশে বন্ধন করা হইয়াছে। হস্তী প্রাণপণ শক্তিতে টানিতেছে, হস্তিপক অঙ্কুশাঘাত করিতেছে, পশ্চাতে অপর বানর হস্তীর পদে দণ্ডাঘাত করিতেছে, ঊর্দ্ধে ও নিম্নে বানরদ্বয় শঙ্খ ও ঢক্কা নিনাদ করিয়া ভীতিপ্রদর্শন পূর্ব্বক হস্তীকে চালনা করিবার চেষ্টা করিতেছে। চিত্র দেখিয়া স্পষ্ট বোধ হইতেছে
৫০