শ্বেতাঙ্গপুরুষ পূর্ব্ব হইতে আসীন ছিলেন। রাজা ও রাজ্ঞীগণ আসন গ্রহণ করিলে নবাগত শ্বেতাঙ্গ পুরুষ সকলকে সম্বোধন করিয়া যাহা কহিলেন তাহা হইতে তাঁহার পরিচয় পাওয়া গেল।
তিনি বলিলেন, মহারাজ প্রিয়দর্শী ত্রিংশদ্বর্ষকাল চেষ্টা করিয়া আর্য্যাবর্ত্তে যত স্থানে ভগবান শাক্যের শরীর ছিল, তাহা সংগ্রহ করিয়া পাটলীপুত্রে লইয়া গিয়াছিলেন। প্রিয়দর্শীর দেহাবসানের পর তথাগতের শরীর দর্শন মগধবাসী ব্যতীত অন্য কাহারও পক্ষে সহজসাধ্য ছিল না। আমরা বহু চেষ্টায় উদ্যান প্রদেশে একটা শরীরনিধান হইতে কিয়দংশমাত্র সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইয়াছি। মৌর্য্যরাজবংশের অধঃপতনের পর যখন বন্যার স্রোতের ন্যায় শকতাড়িত যবনজাতি বাহ্লীক হইতে আসিয়া কপিশা ও উদ্যান অধিকার করিয়াছিল, তখনও শরীরগর্ভে অনেক চৈত্যস্তূপাদি বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে, কারণ যবনগণ তখনও সদ্ধের্ম্মের প্রতি অনুরাগী হয় নাই বা এতদ্দেশবাসিগণের সহিত সহানুভূতি করিতে শিক্ষা করে নাই। অধুনা যবনগণ এতদেশীয় ধর্ম্ম বিশ্বাসে আস্থা স্থাপন করিতে শিখিয়াছে, সুতরাং বিদেশীয়গণের অধিকারে সদ্ধর্ম্মের শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে। সদ্ধর্ম্মের উন্নতি অতি অল্প কালমাত্র আরব্ধ হওয়ায় তাহার বাহ্যলক্ষণ এখনও পরিস্ফুট হয় নাই। সদ্ধর্ম্মের অবস্থা পরিবর্ত্তিত না হইলে যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, হয় ত তাহাও সংগ্রহ করিতে পারিতাম না। তক্ষশিলা মহাবিহারের অধিকারে ত্রিংশদ্বর্ষ যাপন করিয়া প্রকৃত বিশ্বাসীদিগের যৎকিঞ্চিৎ অনুগ্রহলাভে সমর্থ হইয়াছি, তক্ষদত্তের পুত্র সিংহদত্তকে শতদ্রু নদীতীর হইতে সুবস্তুনদীর উপত্যকা পর্য্যন্ত সকলেই কৃপাদৃষ্টিতে দেখিয়া থাকেন, বিশ্বাস করিয়া থাকেন। মৈত্রেয়নাথের অনুকম্পাবলে আমি গৌতমের শরীরাংশ লাভে সমর্থ
৫৯