পাষাণের কথা
হইয়াছি। মহারাজ! যিনি আপনার নগরে আশ্রয় লইয়াছেন, তিনি আর্য্যাবর্ত্তে মহাস্থবিরগণের স্থবির, অর্হৎপাদ ও বোধিসত্বপাদ।
অর্দ্ধশতাব্দী অবনতির পরে সদ্ধর্ম্ম পুনরুজ্জীবিত হইয়া উঠিয়াছে। যাঁহার অঙ্গুলি হেলনে আর্য্যাবর্ত্তের প্রান্ত হইতে প্রান্ত পর্য্যন্ত ধর্ম্মের প্রতি, বুদ্ধের প্রতি, সঙ্ঘের প্রতি বিশ্বাসিগণের সুষুপ্ত মমতা জাগ্রৎ হইয়া উঠিয়াছে, যিনি মৌর্য্যাধিকার কালে মহাসঙ্ঘের প্রকৃত গৌরব দর্শন করিয়াছেন, তাঁহারই চেষ্টায় এই মহানুষ্ঠান সফল হইয়াছে। তিনি সমগ্র বৌদ্ধজগতের প্রণম্য, তাঁহারই আদেশে আমি তক্ষশিলা হইতে তথাগতের শরীরাংশ লইয়া, শত শত ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া আর্য্যাবর্ত্তের প্রান্তে, ধনভূতির রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি, তাঁহারই আদেশে যবন রাজ্য হইতে ববন শিল্পী প্রেরিত হইয়াছে এবং তাঁহারই আদেশে সত্যধর্ম্মের বিশ্বাসিগণ প্রাণপণ শক্তিতে স্তূপ নির্ম্মাণকার্য্যে সহায়তা করিয়াছেন। মহাস্থবির নবাগত শ্বেতাঙ্গ পুরুষের বাক্যে লজ্জিত হইলেন ও কিয়ৎক্ষণ পরে রাজা ধনভূতিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন আপনি তক্ষদত্তপুত্র সঙ্ঘস্থবির সিংহদত্তের প্রকৃত পরিচয় অবগত নহেন। অদ্য যিনি তথাগতের শরীরভার বহন করিয়া তক্ষশিলা হইতে আটবিক মহাকোশলে আসিয়াছেন। তিনি এককালে শতদ্রু ও বিপাশা নদীর মধ্যভাগের অধিকারী ছিলেন। বিতস্তা নদীতটে ইঁহারই পূর্ব্বপুরুষ নবাগত যবন রাজের অব্যাহত গতি প্রতিরোধের চেষ্টা করিয়াছিলেন। বিজিত হইয়াও যিনি পৌরববংশের গৌরব রক্ষায় সমর্থ হইয়াছিলেন, তিনি সিংহদত্তের পূর্ব্বপুরুষ। শকতাড়িত যবন প্লাবনে যখন সমগ্র পঞ্চনদে আর্য্যাধিকার বিলুপ্ত হইয়াছিল, তখন স্বাধিকারচ্যুত হইয়া সিংহদত্ত প্রব্রজ্যা গ্রহণ
৬০