পাতা:পাষাণের কথা.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাষাণের কথা

প্রদেশে আশ্রয়গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন, অদ্যাবধি তাঁহাদিগের বংশধরেরা কেহই উপত্যকাভূমি পরিত্যাগ করিতে সাহসী হয়েন নাই। শকজাতি আর ভ্রমণশীল নাই, তাহারা আর্য্যাবর্ত্তে বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, নবাগত কুষণ বা গুষণ বংশ সমস্ত শকজাতিকে একত্র করিয়া অত্যন্ত পরাক্রমশালী হইয়া উঠিয়াছে। কণিষ্ক কুরুবর্ষ হইতে দাক্ষিণাত্যের উত্তরসীমা পর্য্যন্ত সমস্ত ভূখণ্ডের অধিকারী। আরও বিস্ময়কর পরিবর্ত্তন হইয়াছে। দুর্দ্ধর্ষ শকজাতি সদ্ধর্ম্মে অনুরাগী হইয়াছে। দেবতাদিগের প্রিয় মহারাজ অশোক প্রিয়দর্শীর ন্যায় কণিষ্ক সদ্ধর্ম্মের পোষণকর্ত্তা হইয়াছেন। আবার জম্বুদ্বীপ হইতে চীন, কিরাত, মরু, ঐরাণ প্রভৃতি দেশে ভিক্ষুগণ সদ্ধর্ম্ম প্রচার করিয়া গিয়াছেন। সদ্ধর্ম্মের প্রাচীন তীর্থগুলির উদ্ধার করিবার চেষ্টা হইতেছে। কপিলবাস্তুতে, মহাবোধিতে, বারাণসীতে, কুশীনারে, শ্রাবস্তীতে, বৈশালীতে, কৌশাম্বীতে, সঙ্কাশ্যে, বিদিশায়, মথুরায়, জালন্ধরে, তক্ষশিলায়, নগরহারে, পুরুষপুরে, কপিশায় ও বাহ্লীকে সদ্ধর্ম্মের সংস্কার আরব্ধ হইয়াছে। কত পুরাতন কথা মনে পড়িয়া গেল! উৎসবের দিন কপিলবাস্তু হইতে লুম্বিনী গ্রামের মৃত্তিকা লইয়া একজন ভিক্ষু আসিয়াছিলেন, পাটলিপুত্রবাসী কোন মহাপুরুষ স্তূপনির্ম্মাণকালে বিশেষ সাহায্য করিয়া ছিলেন, মহাবোধি হইতে একজন বর্ষীয়ান ভিক্ষু বোধিদ্রুমবংশজ ক্ষুদ্র অশ্বত্থবৃক্ষ আনিয়া স্তূপবেষ্টনীর বহির্ভাগে রোপণ করিয়াছিলেন। বিদিশানগর হইতে বহুদূর নহে, যাঁহারা বিদিশায় সারিপুত্ত্র ও মৌদ্গল্যায়নের শরীরনিধান-বিহারে রক্ষা করিতেছিলেন তাঁহাদিগের মধ্যে দুই এক জন উৎসবের দিন আসিয়াছিলেন। মথুরায় ধনভূতির পিতা স্তূপবেষ্টনীর স্তম্ভ ও সূচীদানে নিজের নাম চিরস্মরণীয় করিয়া গিয়াছিলেন। তক্ষশিলা

৭৩