পাতা:পিতৃ-মাতৃ পূজা.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতৃ-মাতৃ পূজা । ১৩ জন্ম প্রাপ্ত হইয়া আমি ধৰ্ম্মকার্য্যোপযোগী হইয়াছি । হে পিতঃ । আপনাকে বার বার নমস্কার । আপনার দর্শনই আমার তীর্থস্নান, তপ, হোম ও জপ । হে মহাগুরুর গুরু পিতঃ ! আপনাকে নমস্কার । কোটী কোটী পিতৃতর্পণ এবং শত শত অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল আপনার স্তবপাঠ ও আপনাকে প্রণাম করিলেই হয়, হে পিতঃ ! আপনাকে বার বার নমস্কার করি” । “পিতার এই স্তব প্রত্যহ প্রাতে, পিতৃশ্ৰাদ্ধ দিনে, নিজের জন্ম দিনে এবং সাক্ষাৎ পিতার অগ্ৰে দাড়াইয়া যিনি পাঠ করেন জগতে র্তাহার দুর্লভ কিছু থাকে না । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞত্ব লাভ করেন । পুত্র নানা অপকৰ্ম্ম করিয়াও এই পিতৃ-স্তব পাঠ করিলে সৰ্ব্বপাপমুক্ত হইয়া মুখী হয় এবং নিত্য পিতার প্রীতিকর হইয়া সৰ্ব্ব কৰ্ম্মক্ষম হয় ।” O তিনি এইরূপে পিতার স্তব পাঠ করিয়া হাতযোড় করিয়া বলিলেন, “হে পিতৃদেব ! আপনি আজ্ঞা করুন, আমি মাতৃপূজা করিব।” তখন র্তাহার পিতা ‘তথাস্তু বলিলে তিনি মাতৃপুজা করিতে আরম্ভ করিলেন । ধৰ্ম্মব্যাধ ক্রেগড়ে হস্তদ্বয় রাখিয়া নয়ন মুদ্রিত করিয়া মাতার মূৰ্ত্তি হৃদয়ে দেখিতে দেখিতে ধ্যান পাঠ করিলেন—“দশেন্দ্রিয় যুত, স্থল দেহের উৎপাদিক, বরাভয়করা, শুভাগৰ্ভধাত্রীকে ধ্যান করি।” তারপর “ওমা গর্ভধাত্রী ত্রিভুবনশ্রেষ্ঠা মাতা ! তোমাকে এই ক্ষিতি রূপ গন্ধ অর্পণ করিলাম।” এবং এইরূপে ‘আকাশরূপ পুষ্প,’ ‘বায়ুরূপ ধুপ,’ ‘তেজরূপ দীপ’ এবং অপরূপ নৈবেদ্য' মনে মনে মাকে দিয়া মায়ের মানসপুজা করিলেন। “সৰ্ব্বছঃখদূরকারিণী নির্দোষা মহামায়া দয়ার্জ-হৃদয় শিব ধরিত্রী জননী २