পাতা:পিতৃ-মাতৃ পূজা.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 8 পিতৃ-মাতৃ পূজা মাত ! তোমাকে নমস্কার।” বলিয়া মাকে মনে মনে প্রণাম করিলেন । তিনি একটী ফুল স্বীয় বক্ষের নিকট ধরিয়! আবার ধ্যান পড়িলেন ও ফুলট তাম্রকুণ্ডে রাখিয়া বাহপূজা’ আরম্ভ করিলেন। মাতার সম্মুখের বাটীর উপর মাতার বামপদ ধীরে ধীরে আনিয়া রাখিলেন এবং ঘট হইতে জল ঢালিয়া গর্ভধাত্রী ত্রিভুবনশ্রেষ্ঠ মাতা ! তোমাকে এই পাদ্য অর্পণ করিলাম” বেলিতে বেলিতে পদধৌত্ত করিয়া গামছার দ্বারা ভাল করিয়া মুছিয়া দিলেন । উক্ত বাক্যে তিনি মাতাকে অর্ঘ্য, আচমনীয়, গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, পানীয় জল এবং তামুল প্রদান করিলেন। পিতৃ পূজায় যেরূপভাবে, ঐ সমস্ত দ্রব্য পিতাকে দিয়াছিলেন এখনও সেইরূপ ভাবেই মাতাকে ঐ সমস্ত দ্রব্য দিলেন । তিনি মাতার পদ মস্তকে ধারণ করিয়া হৃদয়ে স্পর্শ করাইয়া বলিলেন, “সৰ্ব্বদুঃখদুরকারিণী নির্দোষী মহামায়া দয়ার্দ্রহৃদয় শিব ধরিত্রী জননী মাতা ! তোমাকে নমস্কার ।” ধৰ্ম্মব্যাধ হাতযোড় করিয়া মায়ের স্তব পড়িলেন— “যথা গঙ্গার সমান তীর্থ নাই, বিষ্ণুর সমান প্রভু নাই, এবং শিবের সমান পূজ্য নাই, মা ! তথা তোমার সমান গুরু নাই । মা ! মাতা, ধরিত্রী, জননী, দয়ার্দ্রহৃদয়, শিব, ত্রিভুবনশ্রেষ্ঠা, নির্দোষী, সৰ্ব্বত্নঃখহ, আরাধনীয়, পরমা, দয়া, শান্তি, ক্ষম, ধৃতি, স্বাছ, স্বধী, গৌরী, পদ্মা, বিজয়ী, জয় এবং দুঃখহন্ত্রী, তোমার এই একবিংশতি নাম শুনিলে বা শুনাইলে মানব সৰ্ব্ব ঃখ হইতে মুক্তিলাভ করেন।”