পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পীতাতঙ্কের প্রতিকার প্রদীপ জলিতেছিল ; তাহারই মৃদ্ধ রশ্মি তাহার দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল। সে তীক্ষদৃষ্টিতে চাহিয়া সেই আলোকে দেখিতে পাইল, তিনজন লোক কম্বলে সৰ্ব্বাঙ্গ আবৃত করিয়া তিনখানি তক্তপোষে নিদ্রা যাইতেছিল । ওয়াকার নিঃশব্দ-পদবিক্ষেপ সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। অতঃপর সে বহুদশী ও সতর্ক ডিটেক্টিভের মতই কাম করিতে লাগিল । সে পকেট হইতে ম্যাচ-বাক্স বাহির করিয়া তাহার কাঠা জালিল, এবং সেই কাট হাতে লইয়া একখানি তক্তপোষের নিকট উপস্থিত হইল । সে সেই জলস্ত কাঠীর সাহায্যে একজন নিদ্রিত চীনাম্যানের মুখ পরীক্ষা করিল। চীনাম্যানটা চক্ষু মুদিয়া ও মুখবিবর ঈষৎ উন্মুক্ত করিয়া গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত ছিল । o ওয়াকার সেই নিদ্রিত চীনাম্যানের মুথের দিকে চাহিয়া মনে মনে বলিল, “আমি এই রকমই মনে করিয়াছিলাম। এই লোকগুলা নেশায় আড়ষ্ট হইয়া ঘুমাইতেছে।”—সে তাহাদের তিনজনকেই সতর্ক ভাবে পরীক্ষা করিয়া বুঝিতে পারিল তাহারা অহিফেন-ধুম ( চণ্ডু) পান করিয়া অজ্ঞান হইয়াছে ; সুতরাং সে সেই কক্ষে উপস্থিত হইয়াছিল ইহা তাহদের বুঝিবার শক্তি ছিল না। ওয়াকার ক্ষণকাল পরে সেই কক্ষ ত্যাগ করিয়া বাহিরে অাপিল এবং দ্বারটি বন্ধ করিল । সে সেই কক্ষের পাশ্বস্থ পথ দিয়া কয়েক গজ অগ্রসর হইয়া বুঝিতে পারিল সেই গলিটি কানা গলি, সন্মুখে পথ ছিল না । কিন্তু বাহিরে যাইবার জন্য কোন দিকে পথ ছিল, ইহা বুঝিতে পারিলেও সে অনুসন্ধানে সেরূপ কোন পথ আবিষ্কার করিতে পারিলনা । তাহার ধারণা হইল হয় ত কোন গুপ্তদ্বার বা অলক্ষ্য পথ আছে ; কিন্তু তাহার সন্ধান পাওয়া কঠিন বলিয়াই তাহার মনে হইল । ওয়াকার