পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ পীতাতঙ্কের প্রতিকার মিট্‌ মিটু করিয়া চাহিতে লাগিল । ওয়াকার অচঞ্চল স্বরে বলিল, “কি হে বাপু স্বৰ্গ-রাজ্যের লোক ! এই নগণ্য ক্ষুদ্র মৰ্ত্তবাসীর প্রতি তোমার অনুগ্রহ-দৃষ্টি কেন পড়িল তাহ শুনিতে পাই না? তোমার স্বপক্ষে কি বলিবার আছে বল শুনি ।” চীনাম্যানট। কোন কথা না বলিয়। নতমস্তকে গো-বেচারার মত দাড়াইয়া রহিল ; পলায়নের চেষ্টা করিল না, কারণ সে বুঝিয়াছিল ওয়াকারের বজ্ৰমুষ্টি শিথিল হইবে না। ওয়া কণর তাহাকে নীরব দেখিয়া ক্রোধে গর্জন করিল । অন্য কোন কৰ্ম্মচারীর হাতে পড়িলে চড়ে চড়ে তাহার গাল ফেশো হইয়া যাইত ; কিন্তু ওয়াকার তাহাকে প্রথমে কেবল ভয় দেখাইল, কর্কশ স্বরে বলিল, “শীঘ্র আমার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, নদীর জলে তোমাকে ডুবাইয়া মারিব।” চীনাম্যানটা নিরুত্তর ; তাহার মুখ হইতে একটা কথাও বাহির হইল না । সে স্তব্ধভাবে নতমস্তকে দাড়াইয়া রহিল । তাতার অবাধ্যতায় ওয়াকার ক্রোধ সং/রণ করিতে পারিল না । সে সক্রোধে বলিল, “তোমার জন্য কি বলিবার আছে— তাঙ্গ বলিবে না ? আমি মুখে যাহা বলি}াছি কাষেও তাঁহাই করিব । আমি যে অঙ্গায় কায করিতেছি, পরমেশ্বর সে জন্য আমাকে যেন ক্ষম। করেন।”—সে চীন,ম্যানটাকে শোলার পুতুলের মত দুই হাতে উদ্ধে তুলিল এবং নদীর বাধের উপর হইতে সবেগে নদীর গভীর জলে নিক্ষেপ করিল। চীনাম্যানটা জলে পড়িবার সময় 'ঝপাং’ করিয়া শব্দ । হুইল ; সেই শব্দ কাহারও কর্ণগোচর হইল না । সেই পথে তখন জনপ্রাণীরও সমাগম ছিল না; কেহই সেই শব্দ শুনিতে পাইল না এবং এই ব্যাপারে কাহার ও দৃষ্টিগোচর হইল না । ** W