পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পীতাতঙ্কের প্রতিকার । ২৯ হো-লি পেটে হাত বুলাইয়। ওয়াকারের অভ্যর্থনা করিল । ওয়াকার তাহাকে কোন কথা না বলিয়া আততায়ীর হস্তচু্যত ছোরাথানি তাহার সম্মুখে রাখিল । হো-লি ছোরাখানি দেখিয় বলিল, “ইহা তুমি কোথায় পাইলে ? বাবা ?” ওয়াকার গম্ভীর স্বরে বলিল, “আজ রাত্রে উহা নদীর বাধের উপর পাইয়াছি । এই ছোরার সাহায্যে আমাকে হত্যা করিবার চেষ্টা হইয়াছিল । যে ব্যক্তি এই ছোরা ব্যবহার করিয়াছিল, তাহার সম্বন্ধে তুমি কি জান ? আমি তোমার নিকট তাহার, পরিচয় জানিতে আসিয়াছি।” বিজ্ঞ দার্শনিক হো-লি কয়েক মিনিট নিস্তব্ধ ভাবে ধুমপান করিল, তাহার পর মুখ হইতে হু কা নামাইয়া বলিল, “শোন বৎস, তোমার উদরটি ক্ষুদ্র হইলেও তাহা জ্ঞানে পরিপূর্ণ ; বিশেষতঃ গুরুজনকে তুমি ষথেষ্ট সম্মান করিয়া থাক, এজন্য আমি তোমাকে সাহায্য করিতে সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত। কেমন, একথা তুমি বিশ্বাস কর ত?” ওয়াকার কোন কথা বলিবার পূৰ্ব্বেই হো-লি হাততালি দিল । তাহার ইঙ্গিত বুঝিতে পারিয়া একটি ভূত্য এক পেয়ালা চা ও কয়েকখানি পিষ্টক আনিয়া তষ্ঠার সম্মুখে রাখিল । চায়ের সহিত পিষ্টকগুলি ভোজনে তৃপ্তিলাভ করিয়া সে ওয়াকারকে বলিল, “এখন বল .ত বাবা, যে লোকটা তোমাকে আক্রমণ করিয়াছিল সে কি লম্বা ?” ওয়াকার বলিল, “ই, লোকটা খুব লম্বা, ওরকম লম্বা লোক চীনাম্যানদের মধ্যে আমি অল্পই দেখিয়াছি । আমরা যে সকল চীনামান সৰ্ব্বদা দেখিতে পাই, তাহারা সাধারণতঃ মোটা ও বেঁটে ।” . হোলি মাথা নাড়িয়া বলিল, “তাহা হইলে সেই লোকট