পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ পীতাতঙ্কের প্রতিকার উপস্থিত হইল । তাহাকে দেখিয়া হো-লি বলিল, “হো-টিং, তোমার বিমাতা আমাকে হত্যা করিতে উদ্যত হইয়াছিল, বিপ্লবীরা আমার শত্রুপক্ষ ; তাহার। তাহীদের দুরভিসন্ধি সফল করিবার জন্য আমাকে হত্যা করিতে উৎসুক। তাহার। গোপনে আমার স্ত্রীকে বশীভুত করিয়া তাহাকে স্বামীহত্যার পরামর্শ দিয়াছে ! আমার গৃহেও বিপ্লবীদের ষড়যন্থ চলিতেছে ! হো-টিং, আমার আদেশে তুমি উহাকে হত্যা কর । আমার স্ত্রী হইয়া যে নারী অন্যের কুপরামর্শে স্বামীর বুকে ছুরি মারিতে পারে, श्रृङ्गाई তাহার প্রার্থনীয় ।” পুত্র তৎক্ষণাৎ পিতাব এই আদেশ পালন করিল। সে বাল্যকাল হষ্টতে শিক্ষা পাইয়াছিল, পিতার আদেশ অবশুপালনীয় ; সেই আদেশ সঙ্গত কি অসঙ্গত, পুত্রের তাঙ্গ বিচার করিবার অধিকার নাই। অ-উইর মৃতদেহ তাহার পদপ্রান্তে লুটাইয়া পড়িল । হো-লি তাহার বিশ্বাসঘাতিনী পত্নীর মৃতদেহের দিকে অবজ্ঞাপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয় তাহার কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ পুত্রকে বলিল, “হো-টিং, এই বিশ্বাসঘাতিনীর মৃতদেহ অবিলম্বে সমাহিতৃ করিবার ব্যবস্থা কর।” হো-টিং ছোরাখনি তাহার বিমাতার বক্ষঃস্থল হইতে অপসারিত করিয়া গম্ভীর স্বরে বলিল, “হঁ। পিত, আপনার আদেশানুযায়ী সকল কার্য শেষ করিব। আমি আপনার আজ্ঞাবহ পুত্র। আমার এই বিমাতা আপনাকে ঘৃণা করিত ; সে আপনার শত্রু ছিল । তাহার অপরাধের উপযুক্ত দণ্ড হইয়াছে। আমি পিতৃআজ্ঞা পালন করিয়!_ ধন্য হইলাম। আমার কৰ্ত্তব্য সুসম্পন্ন হইয়াছে। এখন বলুন, আমার মা কি আমার এই কঠোর কৰ্ত্তব্য পালনের কথা জানিতে পরিবেন ?” হো-লি বলিল, “সে কথা তোমার শুনিবার প্রয়োজন নাই । তুমি আমার আদেশ পালন করিয়াছ, এজন্য তোমাকে কাহারও নিকট